স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতামূলক ভিডিও নিয়ে আলোচনায় সেরেনা

স্তন ক্যানসারের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে সেরেনা উইলিয়ামস এই ভিডিওচিত্রে অংশ নেন। ১৯৯১ সালের বিখ্যাত গান ‘আই টাচ মাইসেলফ’ শিরোনামের গানটি গেয়ে শোনান তিনি। ছবিটি ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া
স্তন ক্যানসারের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে সেরেনা উইলিয়ামস এই ভিডিওচিত্রে অংশ নেন। ১৯৯১ সালের বিখ্যাত গান ‘আই টাচ মাইসেলফ’ শিরোনামের গানটি গেয়ে শোনান তিনি। ছবিটি ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

এক ভিডিও চিত্র দিয়েই ইন্টারনেটের জগতে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন টেনিসের সুপারস্টার সেরেনা উইলিয়ামস। স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতামূলক একটি ভিডিও চিত্র তৈরি করে সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন সেরেনা। তাতে টপলেস অবস্থায় ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন তিনি, গেয়েছেন একটি গান। অন্তর্জালে এখন এই নিয়েই চলছে আলোচনা।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, স্তন ক্যানসারের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে সেরেনা এই ভিডিও চিত্রে অংশ নেন। ১৯৯১ সালের বিখ্যাত গান ‘আই টাচ মাইসেলফ’ শিরোনামের গানটি গেয়ে শোনান তিনি। দ্য ডাভানেলজ নামক রক ব্যান্ডের তৈরি গানটি ওই সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। তবে ভিডিওতে সেরেনা ছিলেন টপলেস। তাঁর কথায়, স্তন ক্যানসার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতেই তিনি এভাবে হাজির হয়েছেন।

সেরেনা উইলিয়ামস এই ভিডিওটি আজ রোববার পোস্ট করেন। এরপরই তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। স্তন ক্যানসারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে অংশ রাখায় সবাই সেরেনার প্রশংসা করছেন।

ইনস্টাগ্রামের পোস্টটিতে সেরেনা লিখেছেন, ‘এবারের স্তন ক্যানসার সচেতনতা সৃষ্টির মাসে আমি ডাভানেলজ ব্যান্ডের তৈরি “আই টাচ মাইসেলফ” শিরোনামের গানটি গেয়েছি। নারীরা যেন নিজেরাই নিয়মিত স্তন ক্যানসারের বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা করেন, সেই বিষয়টিই মনে করিয়ে দিয়েছি আমি। হ্যাঁ, অবশ্যই ভিডিওটি ধারণ করতে গিয়ে আমি স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা থেকে বের হয়ে এসেছি। কিন্তু আমি এটিই করতে চেয়েছি, কারণ এটি এমন একটি ইস্যু, যা সারা বিশ্বের সব বর্ণের সব নারীকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে। আগেভাগেই বুঝতে পারলে অনেক জীবন বাঁচানো যায়।’

এএফপি বলছে, ডাভানেলজ ব্যান্ডের এ গানটি স্তন ক্যানসারের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতেই তৈরি হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যান্ডটির মূল গায়ক ক্রিসি অ্যাম্ফলেট পাঁচ বছর আগে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।

২৩ বারের গ্র্যান্ড স্লাম চ্যাম্পিয়ন সেরেনা আরও বলেছেন, ‘ক্রিসি অ্যাম্ফলেটকে স্মরণ করেই এই মিউজিক ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। তাঁর গান নারীদের স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয়।’

ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার পর প্রথম ১০ ঘণ্টায় ভিডিওটি ১৩ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাই সেরেনার সাহসের প্রশংসা করছেন এবং এমন উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত থাকায় সাধুবাদ জানাচ্ছেন।

মোটে চার দিন আগেই ৩৭তম জন্মদিন পালন করেছেন সেরেনা উইলিয়ামস। অবশ্য টেনিস কোর্টে খুব একটা ভালো সময় যাচ্ছে না তাঁর। সর্বশেষ ইউএস ওপেন টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে নাওমি ওসাকার কাছে সেরেনা হেরে যান। এবার স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে অংশ নিয়ে ভার্চুয়াল জগতে আলোড়ন তুললেন তিনি।