কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের লড়াইয়ে দুই পক্ষের অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১০ জনই বেসামরিক নাগরিক। আজ শুক্রবার সীমান্তের কেরান সেক্টরে দুই পক্ষের গোলা বিনিময়ে এই হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে কয়েক বছরের মধ্যে এটাই ভয়াবহতম লড়াইয়ের ঘটনা।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ভারতের পক্ষে নিহতদের মধ্যে ছয়জন বেসামরিক নাগরিক, তিনজন ভারতীয় সেনা ও একজন সীমান্তরক্ষীবাহিনীর সদস্য। পাকিস্তানের কমকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁদের চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ভারতে নিহতদের মধ্যে আট বছরের একটি শিশুও আছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, কাশ্মীর সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় লড়াই এটি। এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারতীয় সেনারা। ভারতের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তান কোনো কারণ ছাড়াই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এ হামলায় পাকিস্তান মর্টার ও অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতীয় সেনাদের পাল্টা আক্রমণে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবকাঠামোগত অনেক ক্ষতি ও হতাহত হয়েছে। দুই দেশের সেনাদের লড়াইয়ে কারণে স্থানীয় গ্রামবাসী তাঁদের ঘরবাড়ি ছাড়েন।
পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের সরকারি কর্মকর্তা সৈয়দ শহীদ কাদরি অভিযোগ করেন, ভারতীয় বাহিনী বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালিয়েছে। ভারতীয় হামলায় নিহতদের মধ্যে একজন নারীও আছেন। আহত হয়েছেন অন্য ২৭ জন।
নিয়ন্ত্রণরেখায় দুই পক্ষের লড়াইয়ে তিন ভারতীয় সেনা ও তিন জঙ্গি নিহত হওয়ার পাঁচ দিন পর আজ ভয়াবহ লড়াইয়ে জড়ায় ভারত ও পাকিস্তান।
১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের সময় কাশ্মীর বিভক্ত হয়ে দুই দেশের অংশেই পড়ে। কিন্তু দুই দেশই পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। এটা নিয়ে দুই পক্ষ এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধে জড়িয়েছে।