লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর এলাকার ওপর দুটি ড্রোন উড়ে যাওয়ার খবরের পর সেখানে সেনা মোতায়েন করেছে কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরের কার্যক্রম দ্রুত সচলের লক্ষ্যে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গ্যাভিন উইলিয়ামসন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এক টুইট বার্তায় গ্যাভিন উইলিয়ামসন বলেন, ‘বিমানবন্দরে পাঠানো সেনা সদস্যদের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। আমরা সাধারণত সেনা মোতায়েনের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করি না। কিন্তু গ্যাটউইক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করতে যা করার সব করবে সেনা সদস্যরা। যাতে যত দ্রুত সম্ভব বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করা যায়।’
এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে যুক্তরাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে আলাদাভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেকে এ বিষয়ে নিয়মিত তথ্য দেওয়া হচ্ছে।
থেরেসা মে এর এক মুখপাত্র বিবিসি অনলাইনকে জানান, ‘এটি গুরুতর একটি ঘটনা। এর কারণে যাত্রীদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। তা হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান।’
প্রসঙ্গত লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ফ্লাইট স্থগিত করা হয়। যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর গ্যাটউইক। বিমানবন্দর এলাকার ওপর দুটি ড্রোন উড়ে যাওয়ার খবরে তদন্ত শুরু হলে এসব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়। বড়দিনের ছুটির আগে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় যাত্রীরা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। সেখানে উপস্থিত প্রায় ১০ হাজার যাত্রী আটকা পড়েন।
গ্যাটউইক বিমানবন্দর এক বিবৃতিতে জানায়, উড়োজাহাজগুলো বিমানবন্দর ছেড়ে যাচ্ছে না। শিডিউল অনুযায়ী গ্যাটউইকে নামার কথা—এমন বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ দিক বদল করে অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। যাত্রীদের বিড়ম্বনার জন্য টুইটে গ্যাটউইক ক্ষমা প্রার্থনা করে। গ্যাটউইক বলছে, নিরাপত্তাকেই তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।
রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, গত কয়েক বছরে চালকবিহীন উড়োজাহাজ ও বাণিজ্যিক জেটগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েছে। এতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
ইউকে এয়ারপ্রক্স বোর্ড বলছে, ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ব্যক্তিমালিকানাধীন ড্রোন ও উড়োজাহাজের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা তিন গুণ বেড়েছে। গত বছর এ রকম ৯২টিরও বেশি সংঘর্ষ হয়েছে।