নিজেদের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন চেয়েছে ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে এই আবেদন করেছে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুমোদন প্রক্রিয়ার ধাপ পেরোতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকাটি অনুমোদন পেয়ে গেলে তা হবে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের জন্য অনুমোদন পাওয়া তৃতীয় টিকা। এর আগে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার টিকা যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন পেয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জ্যানসেন বায়োটেক ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছে।
জনসনের টিকাটি ঘিরে প্রত্যাশা বেশি। কারণ, এতে দুটি বড় সুবিধা পাওয়া যাবে। একটি হচ্ছে এই টিকা সাধারণ রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রাতেই সংরক্ষণ করা যায়। আরেকটি হচ্ছে এটি এক ডোজের টিকা। একবার নিলেই হলো।
জনসন অ্যান্ড জনসনের আবেদনের পর এফডিএর পক্ষ থেকে উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক আহ্বান করা হবে। টিকাটির পরীক্ষায় পাওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে এ কমিটি তাদের মতামত দেবে। এর আগে ফাইজার ও মডার্নার টিকার অনুমোদন প্রক্রিয়ায় তিন সপ্তাহ সময় লেগেছিল। তবে এবার এর চেয়ে সময় কম লাগতে পারে। এ কমিটির ইতিবাচক মতামত পেলে পরদিনই টিকাটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন মিলতে পারে।
গত সপ্তাহের শেষের দিকে জনসন অ্যান্ড জনসন তাদের টিকা পরীক্ষার প্রথম ফল প্রকাশ করে। এ টিকা তারা ৮টি দেশের ৪৪ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা করেছে। জনসন অ্যান্ড জনসনের দাবি, তাদের টিকাটি ৬৬ শতাংশ কার্যকর। তবে শুধু গুরুতর পর্যায়ের কোভিড-১৯ প্রতিরোধে টিকাটি ৮৫ শতাংশ কার্যকর।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রে সহনীয় ও গুরুতর রোগ প্রতিরোধে তাদের তৈরি টিকা ৭২ শতাংশ কার্যকর। সে তুলনায় এটি দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫৭ শতাংশ কার্যকর।