যুক্তরাজ্যে তিন মাসের মধ্যে টিকা

অক্সফোর্ডের গবেষকেরা টিকা নিয়ে গবেষণা করছেন
ছবি: রয়টার্স

অপেক্ষার সময় আর মাত্র তিন মাস। যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯ টিকার ব্যাপক প্রয়োগের বিষয়টি এ সময়ের মধ্যেই শেষ হতে পারে। সরকারি বিজ্ঞানীদের সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য টাইমস। অক্সফোর্ডের টিকা নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, নিয়ন্ত্রকেরা ২০২১ সাল শুরুর আগেই এটির অনুমোদন দেবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯ প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে অবশ্য শিশুদের বাদ রেখে টিকা কর্মসূচি চালানো হবে। বিশেষজ্ঞদের ধারণার চেয়েও দ্রুত এ কর্মসূচি শুরু হবে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আশা করছেন, এ কর্মসূচির আওতায় ছয় মাসের মধ্যেই প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক এক ডোজ করোনার টিকা পেতে পারেন।

ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) গত বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা রিয়েল টাইমে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ডের সম্ভাব্য টিকাটির পর্যালোচনা শুরু করবে। ইউরোপ অঞ্চলে দ্রুত টিকা অনুমোদনের প্রক্রিয়া হিসেবে এ ধরনের উদ্যোগ প্রথম নেওয়া হচ্ছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, টিকা নিয়ে ইউরোপিয়ান এজেন্সির পর্যালোচনার খবরটি যুক্তরাজ্যের টিকাটির ইউরোপে প্রথম অনুমোদন পাওয়ার ব্যাপারে সম্ভাবনা বাড়াবে।

অক্সফোর্ডের পরীক্ষামূলক টিকা এখন পর্যন্ত করোনার টিকা হিসেবে সবচেয়ে অগ্রগামি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩ হাজার ১২৫ জন। করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন ১০ লাখ ২৬ হাজার ৭৫৬ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।

টিকা তৈরিতে কাজ করছেন গবেষকেরা

করোনা সংক্রমণের পর থেকে মহামারি থেকে রক্ষা পেতে টিকাকেই ভরসা মানছেন বিশেষজ্ঞরা। কার্যকর ও সফল টিকার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি।

অবশ্য গত মাসে অক্সফোর্ডের করোনার টিকা পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। টিকায় এক স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে চূড়ান্ত ধাপে থাকা পরীক্ষা বন্ধ করতে হয়েছিল। তবে গবেষকেরা বলেন, ওই অসুস্থতা টিকা সংক্রান্ত ছিল না।

দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিকার বিস্তৃত পরীক্ষায় আরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মীদের যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন ও সামরিক বাহিনীর সাহায্যের কথাও ভাবা হচ্ছে।