যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশটির আসন্ন নির্বাচনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নাক না গলানোর অনুরোধ করেছেন। ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নিতে আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরে যাওয়ার কথা। এর ঠিক আগ দিয়ে গত শুক্রবার বরিস বলেন, যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোনোভাবে সম্পৃক্ত না হলেই ‘সবচেয়ে ভালো’ হয়।
যদিও হুটহাঁট বেফাঁস মন্তব্যের কারণে পরিচিত ট্রাম্প ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের নির্বাচন নিয়ে নিজের মতামত জানিয়ে ফেলেছেন। গত অক্টোবরে তিনি বলেছিলেন, বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন প্রধানমন্ত্রী হলে তা যুক্তরাজ্যের জন্য ‘খুব খারাপ’ হবে এবং ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজের সঙ্গে বরিস জনসনের জোট করা উচিত।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যের এলবিসি রেডিওতে বরিস বলেন, ‘কাছের মিত্র ও বন্ধু হিসেবে ঐতিহ্যগতভাবে আমরা একে অপরের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে সম্পৃক্ত হই না।...সবচেয়ে ভালো হয়, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও মিত্ররা একে অপরের নির্বাচনে সম্পৃক্ত না হয়।’ তবে ট্রাম্প প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, আরেক দেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলা উচিত নয়—বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভালোভাবেই বোঝেন।
এরপরও অস্বস্তিতে আছেন কনজারভেটিভ নেতারা।
বেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ) ইস্যুতে চার বছর ধরে রাজনৈতিক সংকটে টালমাটাল যুক্তরাজ্য। এরই মধ্যে বেক্সিট কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনের আয়োজন করেছেন বরিস। বিভিন্ন জরিপ বলছে, বিরোধী লেবার পার্টির চেয়ে বেশ ভালো ব্যবধানেই এগিয়ে রয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। বরিস বলেছেন, তিনি পুনর্নির্বাচিত হলে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বেক্সিট কার্যকর করবেন।