বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন করে ২৭ বছর কারাগারে থাকা নেলসন ম্যান্ডেলা একসময় বিশ্বজুড়ে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। দুনিয়ার সবার কাছে পরিচিত হয়ে ওঠেন নেলসন ম্যান্ডেলা হিসেবে। তবে নিজ দেশে তিনি আরও কয়েকটি নামে পরিচিত। এর মধ্যে কয়েকটি ছোটবেলার নাম। আর অন্য নামগুলো তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ব্যবহার করা হয়।
রোলিহলাহলা: জন্মের সময় বাবা এনকোসি এমফাকানিসওয়া গাডলা হেনরির দেওয়া নাম রোলিহলাহলা ম্যান্ডেলা। দক্ষিণ আফ্রিকার কয়েকটি সরকারি ভাষার একটি হচ্ছে খোসা। এই ভাষায় রোলিহলাহলার অর্থ হচ্ছে গাছের ডাল ধরে টানা। সাধারণত সমস্যা বাধানো বা ডানপিটে ছেলে বোঝাতে এই শব্দ ব্যবহার করা হয়।
নেলসন: ম্যান্ডেলা স্কুলে পড়ার সময় এই নামটি পান। ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, ম্যান্ডেলার শিক্ষিকা মিস এমডিনজেন তাঁকে এই নাম দেন। কুনু গ্রামের স্কুলে প্রথম যেদিন যান, সেদিনই তাঁকে এই নাম দেওয়া হয়। ওই শিক্ষিকা কেন এই নাম দিয়েছিলেন, তা পরিষ্কার নয়। এটা ১৯২০ সালের দিকের ঘটনা। ওই সময়ে আফ্রিকার শিশুদের ইংরেজি নাম দেওয়ার প্রথা ছিল। মূলত ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকেরা যাতে সহজে নামটি উচ্চারণ করতে পারেন, সে জন্য এই ব্যবস্থা।
মাদিবা: দক্ষিণ আফ্রিকায় ম্যান্ডেলা মাদিবা নামেই বেশি পরিচিত। তিনি যে থিমবু গোষ্ঠীতে জন্ম নেন, তার গোত্র নাম এটি। দেশবাসী আদর ও শ্রদ্ধা করে ম্যান্ডেলাকে মাদিবা নামে ডাকত।
তাতা: দক্ষিণ আফ্রিকায় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে অনেকেই ম্যান্ডেলাকে ‘তাতা’ বলে ডাকতেন। খোসা ভাষার এই শব্দের অর্থ হচ্ছে পিতা।
খুলু: এটিও খোসা ভাষার শব্দ। ম্যান্ডেলার আরেক আদুরে নাম। ‘খুলু’ শব্দটি ‘ইউবাওমখুলু’ শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ, যার অর্থ হচ্ছে দাদা। নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশনের মতে, এই শব্দের আরও অর্থ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে মহান, শ্রেষ্ঠতর, মহীয়ান ইত্যাদি।
ডালিভুঙ্গা: ১৬ বছর বয়সে খোসা ভাষাভাষী অন্য বালকদের মতো ম্যান্ডেলাও প্রথাগত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যৌবনে পদার্পণ করেন। সে সময় তাঁকে ‘ডালিভুঙ্গা’ নাম দেওয়া হয়। এর অর্থ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা বা সংলাপের আহ্বায়ক। সিএনএন।