ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা

মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০, লাশ হস্তান্তর হয়নি

ক্রাইস্টচার্চে নিহত বাংলাদেশিদের স্বজনদের কান্না। ছবি: রয়টার্স
ক্রাইস্টচার্চে নিহত বাংলাদেশিদের স্বজনদের কান্না। ছবি: রয়টার্স

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সহিংস হামলার ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৫০–এ দাঁড়িয়েছে। গতকাল শনিবার আল নুর মসজিদ থেকে ৫০তম লাশটি উদ্ধার করা হয়। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ। তিনি বলেন, মরদেহগুলো পরিবারের সদস্যদের কাছে এখনো হস্তান্তর করা হয়নি। মৃত্যুর কারণ শনাক্তের পর লাশ হস্তান্তর হবে। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত করার কাজ দ্রুত চলছে।

স্থানীয় সময় গত শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে আল নুর মসজিদে জুমার নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর প্রথমে হামলা চালানো হয়। কিছু পরে লিনউড মসজিদে দ্বিতীয় হামলা হয়।

নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে ফুল ও সমবেদনা প্রকাশের চিত্র দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন। ছবি: রয়টার্স

আল নুর মসজিদে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলা চালানোর ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভস্ট্রিম করেন হামলাকারী ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট। ওই মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য যাচ্ছিলেন নিউজিল্যান্ড সফরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। তাঁরা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান। আল নুর মসজিদে আনুমানিক ৩০০ এবং লিনউড মসজিদে শ খানেক মুসল্লি নামাজ আদায় করছিলেন বলে জানা গেছে।

ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালের শল্য বিভাগের প্রধান গ্রেগ রবার্টসন আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আহত ৩৪ জন এখনো ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এঁদের মধ্যে ১২ জন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছেন। একটি মেয়েকে শিশু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। কয়েকজনের একাধিক অস্ত্রোপচার লেগেছে। এ ছাড়া দুজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।