মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের লড়াই বন্ধের নির্দেশ সত্ত্বেও কাচিন বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই চলছে। এক বছরের বেশি সময় আগে প্রেসিডেন্ট এই লড়াই বন্ধের নির্দেশ দেন।কাচিন ইনডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশন (কেআইও) ও সরকারের মধ্যে শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী ইয়ুপ জ এইচকাউং গতকাল মঙ্গলবার এ কথা জানান। এইচকাউং বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাচিন বিদ্রোহীদের লড়াই হচ্ছে। দুই পক্ষই হামলার জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে। বলছে, হামলার শিকার হওয়ার পর আত্মরক্ষার স্বার্থে তারা পাল্টা হামলা চালাচ্ছে।এইচকাউং জানান, গত সোমবার বিষয়টি নিয়ে তিনি মিয়ানমারে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ডেরেক মিচেলসহ দুজন মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেন। এইচকাউং বলেন, ‘লড়াইয়ের কারণে কাচিনের জনগণ বাড়িঘর হারাচ্ছেন, জীবন রক্ষায় জমিজমা রেখে পালিয়ে যাচ্ছেন।’ এ পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তৃতীয় পক্ষ হিসেবে মধ্যস্থতা করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।লড়াইয়ের কারণে গত বছরের জুনের পর এ পর্যন্ত মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য কাচিন থেকে হাজার হাজার জাতিগত সংখ্যালঘু বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গত জুনেই কাচিন ও সরকারের মধ্যে ১৭ বছরের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যায়।কাচিনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কেআইওর সঙ্গে সরকারের কয়েক দফা আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়। আলোচনায় কাচিনদের পক্ষ থেকে আরও বেশি রাজনৈতিক অধিকারের দাবি তোলা হয়। পরে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে আলোচনা থেকে সরে দাঁড়ায় তারা।তবে মধ্যস্থতাকারী এইচকাউং জানান, সরকার ও কেআইও—দুই পক্ষই আলোচনায় রাজি আছে। নতুন আলোচনার তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।কেআইওর সামরিক শাখা কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) একজন কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, চীনের সীমান্তের কাছে তাদের একটি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।কাচিন ছাড়াও মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সঙ্গে রাখাইনদের দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। এএফপি।