মিয়ানমারে রহস্যজনকভাবে ভেসে এসেছে এক বিশাল খালি জাহাজ। এর দৈর্ঘ্য ৫৮০ ফুট। মরচে ধরা। অনেকটাই জরাজীর্ণ।
কন্টেইনারবাহী বিশাল এই জাহাজের নাম ‘স্যাম রাতুলাঙ্গি পিবি ১৬০০’।
মিয়ানমার টাইমসের খবরে জানানো হয়, চলতি সপ্তাহে বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের শহরতলি থংওয়ার উপকূলে ভেসে আসে জাহাজটি। তবে এটি জনমানবশূন্য। নেই কোনো নাবিক, না আছে পণ্য।
থংওয়ার পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থামা সেইতা গ্রাম থেকে সাত কিলোমিটার দূরে জাহাজটি প্রথম চোখে পড়ে। গ্রামবাসী বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়। কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ দল জাহাজে উঠে তল্লাশি করে সেখানে কাউকে পায়নি।
ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইয়াঙ্গুন পুলিশ জানিয়েছে, জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার পতাকাবাহী। এটি সৈকতে পতিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
ইনডিপেনডেন্ট ফেডারেশন অব মিয়ানমার সিফারার্সের জেনারেল সেক্রেটারি অং কিও লিন মিয়ানমার টাইমসকে বলেছেন, জাহাজটি এখনো ব্যবহারের উপযোগী। তাঁর সন্দেহ, জাহাজটি সম্প্রতি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। নিশ্চয়ই এর পেছনে কারণে আছে।
বিশ্বজুড়ে জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণকারী মেরিন ট্রাফিক ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, জাহাজটি ২০০১ সালে তৈরি। ৫৮০ ফুট দীর্ঘ।
এএফপির খবরে জানানো হয়, মিয়ানমারে জাহাজটি চোখে পড়ার আগে সর্বশেষ রেকর্ড অনুয়ায়ী এটি ২০০৯ সালে তাইওয়ান উপকূলে ছিল।
ওই অঞ্চলের পার্লামেন্ট সদস্য ইউ নি উইন বলেন, ‘এত বিশাল জাহাজ আমাদের জলসীমায় কীভাবে এল, তা বেশ গোলমেলে। কর্তৃপক্ষ সারাক্ষণ এর ওপর নজর রাখছে।’