মিসরে গণতন্ত্রের মৃত্যু

কায়রোর রাব্বা আল-আদাবিয়া মসজিদের চারপাশে অবস্থান নিয়েছিল মুরসিপন্থীরা। তাদের সরিয়ে দেওয়ার অভিযানের সময় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মসজিদটি। গতকাল এর সামনে অবস্থান নেন সামরিক পুলিশের সদস্যরা ষ ছবি: রয়টার্স
কায়রোর রাব্বা আল-আদাবিয়া মসজিদের চারপাশে অবস্থান নিয়েছিল মুরসিপন্থীরা। তাদের সরিয়ে দেওয়ার অভিযানের সময় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মসজিদটি। গতকাল এর সামনে অবস্থান নেন সামরিক পুলিশের সদস্যরা ষ ছবি: রয়টার্স

মিসরে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থকদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। পাশাপাশি উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার পথ তৈরি করতে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের দ্য টাইমস গত বুধবারের কায়রো অভিযানকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছে। পত্রিকাটি সতর্ক করে বলেছে, মিসরের অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা ‘সুতোয় ঝুলছে’।
গতকাল বৃহস্পতিবারের প্রকাশনায় দ্য টাইমস বলেছে, ‘এটা গণহত্যা। মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যে নৈরাজ্য হয়েছে, তার দায় মুসলিম ব্রাদারহুড এড়াতে পারে না। কিন্তু গতকালের অভিযান ছিল নিন্দারও ঊর্ধ্বে। এটা নিঃসন্দেহে আত্মঘাতী কাজের শামিল।’
নিউইয়র্ক টাইমস আরও এক ধাপ এগিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি মিসরের সেনাবাহিনীকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ১৩০ কোটি ডলারের বার্ষিক সহায়তা স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছে। পত্রিকাটি সম্পাদকীয়তে বলেছে, কায়রোর সর্বশেষ রক্তপাত গৃহযুদ্ধের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়েছে।
‘রক্তক্ষয়ী সহিংসতায় মিসরের গণতন্ত্রের মৃত্যু’ শিরোনাম করেছে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস। পত্রিকাটি বলেছে, এই অভিযানের ফলে সেনাবাহিনী-সমর্থিত সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের সামর্থ্য ও সদিচ্ছা বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।
ফ্রান্সের লা মঁদ বলেছে, মিসরে সেনা অভিযান ও জরুরি অবস্থা ঘোষণা চরম পশ্চাদমুখী পদক্ষেপ। ২০১১ সালের জানুয়ারির বিপ্লবের মাধ্যমে যা অর্জিত হয়েছিল, তার সবই এই অভিযানের ফলে শেষ হয়ে গেছে।
ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্ট লিখেছে, সহিংসতার মাত্রা এবং আঘাতের গভীরতা দেশটির ভবিষ্যতের জন্য ভয়ানক অশুভ সংকেত। এএফপি।