বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩ লাখ ৩৩ হাজার ছাড়াল।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সকাল নাগাদ করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৪৬ জন।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, একই সময় বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছে ১১ লাখ ১৭ হাজার ৪৩০ জন।
বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা প্রায় পৌনে ৩ কোটি।
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮২ লাখ ১০ হাজার ৮৪৯ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছে ২ লাখ ২০ হাজার ৯৫ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ২৭৩। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৬১০ জন।
ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৭২৭ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ১৭৬ জন।
তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। আর্জেন্টিনা পঞ্চম। স্পেন ষষ্ঠ। কলম্বিয়া সপ্তম। ফ্রান্স অষ্টম। পেরু নবম। মেক্সিকো দশম।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।
১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।
১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯ ’।
১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সোমবার ছিল দেশে সংক্রমণ শনাক্তের ২২৬ তম দিন। এখন পর্যন্ত দেশে ৩ লাখ ৯০ হাজার ২০৬ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৫ হাজার ৫৯৯ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রায় ৭৯ হাজার মানুষ।
দেশে এখনো গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। আবার করোনা শনাক্তের পরীক্ষার বাড়লে রোগীর সংখ্যাও বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশ কিছুদিন ধরে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হলেও এখনো তা স্বস্তিকর মাত্রায় আসেনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা নির্দেশক অনুযায়ী, কোনো দেশে শনাক্তের হার টানা তিন সপ্তাহ ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধরা যায়। সে হিসাবে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে।