কানাডার আলবার্টায় বসবাসকারী বাংলাদেশিদের প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ-কানাডা হেরিটেজ সোসাইটি অব এডমন্টন বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা বর্ষবরণ উদ্যাপন ও বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে।
এ উপলক্ষে গত ২৭ এপ্রিল ইন্ডিয়ান কালচারাল সেন্টারে বর্ষবরণ, বৈশাখী মেলা, ফ্যাশান শো, নাচ, গান এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল অর্ধ শতাধিক শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, নববর্ষ পদক বিতরণ, মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ নানাবিধ উপস্থাপনা। অনুষ্ঠানে দেশীয় পান্তা, কাঁচামরিচ ও ইলিশ মাছসহ রকমারি খাবারের স্টল ছিল। বাংলাদেশ কানাডা হেরিটেজ সোসাইটি অব এডমন্টনের সভাপতি ম লস্করের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কানাডার প্রাকৃতিক সম্পদমন্ত্রী অমরজিত সোহী। অতিথি ছিলেন এডমন্টনের স্থানীয় এম এল এ। বিশেষ অতিথি ও বিচারকমণ্ডলী ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ডাইভার্স এডমন্টন সম্পাদক দেলোয়ার জাহিদ, ডা. পারভেজ এবং হালিম সরকার।
এডমন্টনে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতীক ‘ঘুড়ি’। তরুণদের ঊর্ধ্ব পানে চাওয়ার এবং চলার আহ্বান জানানো হয়েছে এর মাধ্যমে। এদিন বাঙালিদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এ ছাড়া প্রধান অতিথি কানাডার প্রাকৃতিক সম্পদমন্ত্রী অমরজিত সোহী বলেন, কানাডা বহু সংস্কৃতির দেশ। অন্যের ভাষা ও সংস্কৃতিকে ধারণ করার সক্ষমতা রাখে এ দেশ।
ডাইভার্স এডমন্টন সম্পাদক দেলোয়ার জাহিদ বলেন, জীবন হোক ভয়হীন, চলাচল হোক উন্মুক্ত স্বাধীন—নতুন প্রজন্ম এটাই প্রত্যাশা করে। তরুণ প্রজন্মকে মাথা তুলে দাঁড়াবার, সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানোর প্রয়াস এই স্লোগানে। সব বাধা পেরিয়ে অনন্ত সম্ভাবনার সামনে তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে যাবে সেই কথাটুকু তাঁদের সামনে তুলে ধরার সুযোগ তৈরি হয়েছিল এ অনুষ্ঠানে।
এডমন্টনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সন্তান ও শিশু-কিশোরদের জন্য ‘নববর্ষ কিশোর ও যুব পুরস্কার ১৪২৫’ এ বছর ১৪২৬ বঙ্গাব্দে বিতরণ করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে—নাভিদ মির্জা, মিয়া আনাফ রহমান, সাওউতি চৌধুরী, ইলতিফাত নাহিয়ান, আনাস আইহাম, পিয়াল তালুকদার, রৌদশী চৌধুরী, আকাশ দাস, নাফিসা মির্জা, কানিজ ফাতিমা, ইলতিজা নাহিয়ান, আয়াত ইসলাম, রাহাত ভূঁইয়া, আফরাহ আনম হোসেন, আলফি শাহরীন রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ কানাডা হেরিটেজ সোসাইটি অব এডমন্টনের এ উদ্যোগে স্পনসর করেছে ডাইভার্স এডমন্টন। ২০১৭ সালে আলবার্টা পার্লামেন্টে বাংলা নববর্ষকে স্বীকৃতি দান করায় কমিউনিটি নেতাদের সংসদীয় সম্মাননা ভোজ দেওয়া হয়।
শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন বিশেষ অতিথি ও বিচারক মণ্ডলীর সদস্য ডা. পারভেজ এবং হালিম সরকার।
পরে সোনিয়া ইসলামের পরিচালনায় ও আহসান উল্লার সহযোগিতায় তিন প্রজন্মের ফ্যাশান শো অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন নন্দিনী, রেবেকা সরকার, ধনঞ্জয় বাবু, রূপ চৌধুরী, সেলিম ও চামেলী লস্কর প্রমুখ। তবলায় ছিলেন বিকাশ তালুকদার। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন শোহা ইসলাম ও চামেলী লস্কর।