কোনো চুক্তি ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) সম্পন্ন হওয়ার পর দেশটির খাবার আমদানি করতে সংকট সৃষ্টি হলে ব্রিটিশ নাগরিকদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে বলবে সরকার। গত শুক্রবার যুক্তরাজ্যের দৈনিক পত্রিকা দ্য টাইমস এ-সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট সম্পন্ন হলে খাবার সরবরাহের ক্ষেত্রে কী হবে—এ নিয়ে পরিকল্পনা করছে লন্ডন। যদি ইইউ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে এবং সীমান্তে তল্লাশি বাড়ায়, তবে পচনশীল দ্রব্য যেমন, নেদারল্যান্ডস থেকে সবজি এবং স্পেন থেকে ফল আমদানি করা কঠিন হয়ে পড়বে। সরকার ভবিষ্যতের জন্য খাবার সংরক্ষণ করতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু বৃহদাকার সংরক্ষণাগার খুঁজে বের করেছে। যদিও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ধারণা, কোনো ধরনের খাদ্যঘাটতি হবে না।
এদিকে দেশটির কিছু কোম্পানি এই খাবার সংকট মোকাবিলার জন্য নিজেরাই তাদের মতো করে ব্যবস্থা নিচ্ছে। পনির সরবরাহের জন্য জিজ্জি ও এএসকে নামের দুটি চেইন রেস্তোরাঁ ইতালি ছেড়ে যুক্তরাজ্যে আসছে। ওই দুটি রেস্তোরাঁর মূল প্রতিষ্ঠান আজজুরি বলেছে, চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যে খাবারের সংকট হবে—এই ভয়ে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠান দুটি ছাড়াও প্রিমিয়ার ফুড, কুয়র্নের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, সীমান্তে তল্লাশির কারণে পণ্য খালাস হতে দেরি হলে যাতে কোনো ধরনের সংকটের সৃষ্টি না হয়, এ জন্য তারা খাবার মজুত করবে।
ব্রেক্সিট নিয়ে এখনো দোলাচল বিদ্যমান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, ব্রেক্সিট প্রশ্নে আগামী ১৪ জানুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হবে।