যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার দরিদ্র দেশগুলোকে কম খরচে করোনার বড়ি তৈরির অনুমতি দেবে। তবে এর আগে তাদের সম্ভাবনাময় মুখে খাওয়ার এ বড়ি ট্রায়ালে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পেতে হবে। আজ মঙ্গলবার ফাইজারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে ফাইজার জার্মানির প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের সঙ্গে করোনার টিকা উৎপাদন করেছে। ফাইজারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের প্যাক্সলোভিড নামের বড়ি তৈরির অনুমোদনের জন্য একটি চুক্তি সই হয়েছে। এতে জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারকেরা কোনো রয়ালটি ছাড়াই তাদের বড়ি উৎপাদন করতে পারবে।
গ্লোবাল মেডিসিন পেটেন্ট পুলের (এমপিপি) সঙ্গে ফাইজারের এ চুক্তির ফলে বিশ্বের ৯৫টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে কম খরচে করোনার ওষুধ পাওয়া যাবে। এসব দেশে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ বসবাস করে।
এর আগে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক প্রতিষ্ঠান মার্ক অ্যান্ড কোম্পানি এ ধরনের চুক্তি করেছিল। ফাইজারের এই বড়ি এইচআইভি ওষুধ রিটোনাভিরের সঙ্গে নিতে হবে।
ফাইজার দাবি করেছে, তাদের বড়ি নিয়ে চলমান পরীক্ষার অন্তর্বর্তী তথ্যে দেখা গেছে, এটি হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ কমাতে পারে।
জেনেভাভিত্তিক এমপিপি হলো একটি জাতিসংঘ সমর্থিত আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য ওষুধের উন্নয়নের সুবিধার্থে কাজ করে।
এমপিপির নির্বাহী পরিচালক চার্লস গোর বলেছেন, ‘লাইসেন্সটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি অনুমোদন পেলে মুখে খাওয়ার ওষুধটি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত হবে এবং তা জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’
ফাইজারের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী আলবার্ট বোরলা বলেছেন, ‘মুখে খাওয়ার বড়ি করোনাভাইরাস সংক্রমণের তীব্রতা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এ ছাড়া আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর চাপ কমিয়ে জীবন রক্ষা করতে পারে।’