পেটে তীব্র ব্যথা নিয়ে এক রোগী চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। কোনোভাবেই ব্যথা কমছিল না। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকের চোখ কপালে ওঠে। ওই ব্যক্তির পেটে ধাতব বস্তুর উপস্থিতি শনাক্ত করেন চিকিৎসক। পরে অস্ত্রোপচার করে বের করা হয় ২৩৩টি ধাতব মুদ্রা। শুধু কি তা–ই! ছিল নখ, ব্যাটারি, চুম্বক, ধাতব স্ক্রু, কাচের টুকরাও।
অবাক করা এ ঘটনা ঘটেছে তুরস্কে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ টুডে এক প্রতিবেদনে এ ঘটনার কথা জানিয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি কবে তিনি চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন, কবে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে—সেসব বিস্তারিত জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি। প্রতিবেদনে শুধু বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তি তুরস্কের নাগরিক। বয়স ৩৫ বছর। প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে তিনি চিকিৎসকের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন।
চিকিৎসকের পরামর্শে ওই ব্যক্তির এক্স-রেসহ প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ফলাফল দেখে চিকিৎসক তাঁর পেটে অস্বাভাবিক ও ধাতব জিনিসপত্র রয়েছে বলে টের পান।
সিদ্ধান্ত নেন জরুরি অস্ত্রোপচারের। পরে অস্ত্রোপচার করে একে একে ২৩৩টি ধাতব মুদ্রা ও অন্যান্য জিনিস বের করে আনেন।
শল্যচিকিৎসক বেনিসি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ওই ব্যক্তির পাকস্থলী পুরোপুরি পরিষ্কার করেছি।’ এই অস্ত্রোপচার তাঁর জীবনে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন ডা. বেনিসি। তিনি বলেন, সচরাচর এমন ঘটনা দেখা যায় না। যা-ও দু-একজন রোগী আসেন, তাঁরাও শিশু, কারাবন্দী ব্যক্তি, নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি বা মানসিকভাবে সুস্থ নন, এমন মানুষ। কিন্তু তাঁর মতো পুরোপুরি সুস্থ-স্বাভাবিক ও প্রাপ্তবয়স্ক একজন ব্যক্তির এমন অবাক করা সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসা বিরল।
তবে তুরস্কের ওই ব্যক্তি কেন ও কীভাবে ২৩৩টি ধাতব মুদ্রা, নখ, ব্যাটারি, চুম্বক, ধাতব স্ক্রু, কাচের টুকরা খেলেন, সে ব্যাপারে জানা যায়নি। চিকিৎসকেরা শুধু জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ আছেন তিনি।