নারীশিক্ষা জলবায়ু সংকটের সমাধান: মালালা

উগান্ডার পরিবেশকর্মী ভ্যানেসা নাকাতে, শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই ও সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ
ছবি: রয়টার্স

পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের জলবায়ু আন্দোলন ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার লড়াই নারীশিক্ষা অধিকারেরও লড়াই। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের কোটি কোটি মেয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। খবর রয়টার্সের।

গ্রেটা থুনবার্গের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে সুইডিশ পার্লামেন্টের বাইরে প্রতি শুক্রবার বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।

গতকাল শুক্রবার ফ্রাইডেস ফর ফিউচার কর্মসূচিতে পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ও ভ্যানেসা নাকাতের সঙ্গে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন পাকিস্তানি নারীশিক্ষা অধিকারকর্মী মালালা।

পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের জলবায়ু আন্দোলন ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ কর্মসূচিতে মালালা ইউসুফজাই। ১০ জুন ২০২২, সুইডেন

নারীদের শিক্ষাবঞ্চিত করতে পাকিস্তানি তালেবানের (টিটিপি) অপচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানোয় ২০১২ সালে টিটিপির একজন বন্দুকধারী মালালার মাথায় গুলি করেন। তবে প্রাণে বেঁচে যান মালালা। এরপর সবচেয়ে কম বয়সে (১৭ বছর) শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। মালালা ইউসুফজাইয়ের বয়স এখন ২৪ বছর।

এক সাক্ষাৎকারে মালালা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক ঘটনা ঘটছে। এতে কোটি কোটি মেয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। খরা ও বন্যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে স্কুলে। মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মেয়েরা। সবার আগে মেয়েরা স্কুল থেকে ঝরে পড়ছে।

গতকাল শুক্রবার ওই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন তাঁর জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলেছে, এর একটি গল্প বলেন মালালা। বলেন, তিনি যখন স্কুলে পড়েন, তখন জলবায়ু পরিবর্তনের তা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় তাঁদের ঘরবাড়ি ও আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়। এ কারণে অনেক দিন তাঁর স্কুলে যাওয়া হয়নি।

‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’ কর্মসূচি মালালা, থুনবার্গ ও নাকাতের কথায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মেয়েদের শিক্ষাবঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি উঠে আসে।

তাঁরা বলেন, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের মেয়েরা জলবায়ু সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদি শিক্ষার মাধ্যমে এসব মেয়ের ক্ষমতায়ন করা হয়, তাহলে তা সংকট সমাধানের অংশ হতে পারে তারা।