রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনিকে বিষ প্রয়োগের ঘটনায় রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার সাতজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বাইডেন প্রশাসন থেকে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার রাসায়নিক পদার্থ তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৪টি প্রতিষ্ঠানও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নাভালনিকে বিষ প্রয়োগের পেছনে রাশিয়া সরকারের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে।
নাভালনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে বড় সমালোচক হিসেবে পরিচিত।
সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, রাশিয়ার চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণার আগেই রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনিকে বিষ প্রয়োগের বিষয়টি আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বানের দাবি করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা। তাঁকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার দাবিও তোলে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে নাভালনিকে আটকের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে চার জ্যেষ্ঠ রুশ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা রাশিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চার কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই চার রুশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে থাকছে ইউরোপে তাঁদের সম্পত্তি জব্দ করার কথা বলছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কঠোর সমালোচক নাভালনির ওপর বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল গত বছরের ২০ আগস্ট। এর ফলে সাইবেরিয়া থেকে আকাশপথে মস্কো যাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন নাভালনি। তাঁকে মস্কো শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে জার্মানিতে নেওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। পরে জার্মান সরকার জানায়, নাভালনির ওপর নোভিচক গ্রুপের নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছিল। যদিও রাশিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত ১৭ জানুয়ারি জার্মানি থেকে সুস্থ হয়ে মস্কোর শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দরে নামার পর ৪৪ বছর বয়সী নাভালনিকে আটক করে রুশ পুলিশ। পরে তাঁকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেয় রুশ কর্তৃপক্ষ। এরপর এক রায়ে নাভালনির আড়াই বছরের জেল হয়।