শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তবে তাঁর শ্বাসতন্ত্রে কোনো সমস্যা ছিল না। তবু কমছিল না শ্বাসকষ্ট। পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর চিকিৎসকদের চোখ কপালে ওঠে। তাঁরা দেখতে পান, ওই ব্যক্তির ডান নাকের ভেতরে ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে একটি দাঁত। এ জন্যই শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তাঁর। পরে দাঁতটি তুলে ফেলেন চিকিৎসকেরা।
ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশাল (ইউপিআই) গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শ্বাসকষ্ট নিয়ে নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হেলথ সিস্টেম হাসপাতালে আসেন ৩৮ বছর বয়সী একজন পুরুষ। তবে তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি। সেখানকার চিকিৎসকদের ওই ব্যক্তি জানান, কয়েক বছর ধরে তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা চলছে। ডান নাক দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে তাঁর ভীষণ কষ্ট হয়।
এরপর ওই ব্যক্তির শ্বাসতন্ত্রের পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। তবে তাতে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। চিকিৎসকেরা ওই ব্যক্তির ডান নাক দিয়ে ক্ষুদ্র আকারের একটি ক্যামেরা প্রবেশ করান। এতে তাঁর নাকের ভেতরের অংশে একটি দাঁত গজাতে দেখা যায় বলে জানিয়েছে ইউপিআই। আর এ দাঁতের কারণে ওই ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল।
ঘটনাটি নিয়ে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন–এ একটি নিবন্ধ লিখেছেন ওই হাসপাতালের সার্জন সাগর খান্না ও মাইকেল টার্নার। তাঁরা জানান, ওই ব্যক্তির নাসারন্ধ্রের ভেতর একটি দাঁত ধীরে ধীরে গজিয়ে উঠছিল। এ কারণেই তাঁর শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল।
পরে চিকিৎসকেরা ওই ব্যক্তির ডান নাকের ভেতর থেকে প্রায় দশমিক ৬ ইঞ্চি লম্বা দাঁতটি তুলে ফেলেন। এতে কোনো সমস্যা হয়নি। এখন তিনি সুস্থ আছেন। চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় আছেন। তিন মাস পর তাঁকে আবারও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।