ডাইনোসরের হুঁশ, আমরা কেন বেহুঁশ

ইউএনডিপির সচেতনতামূলক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের দৃশ্যপটে ডাইনোসরের প্রতিকৃতি।
ছবিটি ভিডিও থেকে নেওয়া

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলছে। হলভর্তি মানুষ। হঠাৎই পা দাপাতে দাপাতে ঢুকে পড়ল এক অতিকায় ডাইনোসর। ভয়ংকর প্রাণীর এমন আকস্মিক আবির্ভাবে উপস্থিত সবাই তো ভীতসন্ত্রস্ত। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, কাউকে কোনো ক্ষতি না করে ডাইনোসরটি সোজা অধিবেশনকক্ষের ডায়াসে উঠে পড়ল। তারপর সবার উদ্দেশে দিতে লাগল বক্তব্য। তার সেই বক্তব্য, এই ধরিত্রীকে রক্ষার, মানবজাতিকে বিলুপ্তি থেকে বাঁচানোর। ‘বিলুপ্তির দিকে যেয়ো না’—মানবজাতির প্রতি এমন উদাত্ত আহ্বান ছিল প্রাণীটির বক্তব্যজুড়ে।

জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপের দাবিতে পরিবেশ অধিকারকর্মীদের বিক্ষোভ। গতকাল যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোয়।

আসলে এটি কোনো বাস্তব ঘটনা নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের দৃশ্য এটি। ইউএনডিপির ‘ডোন্ট চুজ এক্সটিঙ্কশন’ বা ‘বিলুপ্তির দিকে যেয়ো না’ শীর্ষক প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৬) প্রাক্কালে এটি প্রচার করা হয়। এই প্রচারণার মূল্য উদ্দেশ্য হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে উদ্দীপ্ত করা।

সম্ভবত সবার মনেই প্রশ্নের উদয় ঘটতে পারে, ডাইনোসর এই হুঁশ মানুষের মধ্যে কেন জাগে না? আমরা কেন এতটা বেহুঁশ? জাগলেও কতটা জেগেছে? এসব প্রশ্নের কারণ অনুসন্ধান করতে যাওয়ার আগে জলবায়ু পরিবর্তন আসলে কতটা বিপজ্জনক তার কিছু তথ্য উপস্থাপন করা জরুরি।

দাবানলে পুড়ে অঙ্গার প্রকৃতি। এক কর্মী আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।

বিপদের জায়গা যেখানে

জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় বিপদের একটি হচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া। অর্থাৎ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ বেড়ে যাওয়ার কারণে বায়ুমণ্ডল আরও উষ্ণ হয়ে উঠছে। এতে করে গ্রিনল্যান্ড ও অ্যান্টার্কটিকের হিমবাহ ও বরফের স্তর গলে যাচ্ছে। গলে যাওয়া সেই পানি এসে পড়ছে সাগর-সমুদ্রে। ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বেড়ে গেলে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল নিকট ভবিষ্যতে পানির অতল গহিনে তলিয়ে যাবে, এমনটাই বলছেন বিজ্ঞানীরা।

এই গভীর উদ্বেগ নিয়ে ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর বিশ্বের পরিবেশবিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী ন্যাচার কমিউনিকেশনসে ‘নিউ ইভাল্যুশন ডেটা ট্রিপল অ্যাস্টিমেট অব গ্লোবাল ভালনারয়্যাবিলিটি টু সি-লেভেল রাইজ অ্যান্ড কোস্টাল ফ্লাডিং’ শিরোনামে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়। ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একবিংশ শতাব্দীজুড়ে বৈশ্বিক সমুদ্রস্তরের উচ্চতা ২ থেকে ৭ ফুট বাড়তে পারে। এমনকি এর চেয়ে বেশিও বাড়তে পারে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে, বিশ্বের মানুষের কী ক্ষতি হবে তার একটি মডেল তৈরি করেছে ক্লাইমেট সেন্ট্রাল নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তাদের হিসাবমতে, সমুদ্রের পানির উচ্চতার স্তর কমানো না গেলে ২০৫০ সালের সালের নাগাদ বর্তমানে ৩০ কোটি মানুষ বসবাস করা স্থান পানির নিচে তলিয়ে যাবে। ২১০০ সাল নাগাদ বর্তমান বসবাস করা ২০ কোটি মানুষের জায়গা উচ্চ জোয়ারে স্থায়ীভাবে পানির নিচে চলে যাবে (তথ্যসূত্র দেখুন: ১)।

সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হচ্ছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এশিয়া, বিশেষত এই অঞ্চলের উপকূলের মানুষেরা। সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত সেই দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ দুই নম্বরে রয়েছে। অন্য দেশগুলো হলো—চীনের মূল ভূখণ্ড, ভারত, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড। ২০৫০ সাল নাগাদ তলিয়ে যাওয়া ৩০ কোটি মানুষের বাসস্থানের ৭৫ শতাংশই এই ছয়টি দেশের (তথ্যসূত্র দেখুন: ২)। ফলে অনেক মানুষ সহায়-সম্বল হারিয়ে অভ্যন্তরীণ বা অন্য দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে হবে। এতে করে মানবিক সংকট চরম গিয়ে পৌঁছাবে। দেশে দেশে অশান্তি সংঘাত, হানাহানি বেড়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করেছে। চলতি বছরের গত আগস্টে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত আন্তসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি) ষষ্ঠ মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে সাতক্ষীরার গাবুরাসহ বিশ্বের জলবায়ু বিপন্ন মানুষের দুর্ভোগ-দুর্দশার অভিজ্ঞতার চিত্র উঠে এসেছে। ৬৬টি দেশের ১৩৪ জন বিজ্ঞানীর তৈরি করা আইপিসিসির প্রতিবেদনের তথ্যমতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১১টি দেশে আগামী দিনে বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও বন্যার ঘটনা বাড়বে। প্রতিবেদনটি সতর্ক করে দিয়ে বলছে, পরিস্থিতি এখন ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এ কারণে এমন সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে, যা গত দুই হাজার বছরেও বিশ্ববাসী দেখেনি।

প্রচণ্ড খরায় জনজীবন বিপর্যস্ত। পানিভর্তি পাত্র গাধার পিঠে নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন একজন ব্যক্তি। আফগানিস্তানের বাদগিস প্রদেশ।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও বন্যার প্রবণতা বাড়ার সঙ্গে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবল যোগসূত্র রয়েছে। শিল্পবিপ্লবের পর বিশ্বের তাপমাত্রা ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এ সময়ে ভারত মহাসাগর বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এর ফলে মৌসুমি বায়ু শক্তিশালী হয়ে বেশি বৃষ্টিপাত ঘটাচ্ছে। যে কারণে বিশ্বের প্রধান নদী অববাহিকাগুলো এবং এর তীরবর্তী দেশ ও শহরগুলোতে বাড়ছে বন্যা। সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বন্যা, খরা, দাবানলের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় অহরহ দেখা যাচ্ছে। বিস্ময়কর হচ্ছে, একটি দেশের এক প্রান্তে ভয়াবহ বন্যা, অন্য প্রান্ত তীব্র খরা বা ভয়াবহ দাবানল আঘাত হানছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ভেলকিই মানুষ জাতিকে এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মুখে দাঁড় করিয়েছে। আর এগুলো এই জাতির বিপন্নের ঝুঁকির মুখে নিয়ে যাচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মানুষের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। এটি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক হুমকির সৃষ্টি করেছে। তীব্র দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার পাশাপাশি হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়েছে। এ ছাড়া আবহাওয়ার ধরন পরিবর্তন হওয়ায় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর মতো কীটপতঙ্গবাহিত রোগের সংখ্যা বিশ্বজুড়েই বেড়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব রোগ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। এ ছাড়া উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে আর্কটিক ও গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলে যাওয়ায় দীর্ঘদিন হিমায়িত অবস্থায় থাকা অনেক প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকির সৃষ্টি করতে পারে।

দায়ী ধনীরা, ভুগছে গরিবরা

ঐতিহাসিক বায়ু দূষণকারী দেশের তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউভুক্ত ২৭টি দেশ। চীন বর্তমানে সর্বাধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশ (প্রায় ২৮ শতাংশ)। যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, রাশিয়া ও জাপানের মিলিত নিঃসরিত কার্বনের পরিমাণ প্রায় ৩৪ শতাংশ এবং ভারত ২ দশমিক ৬২ শতাংশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান চালক হচ্ছে এই কার্বন নিঃসরণ। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে এই ধরিত্রী বিনাশকারী উপাদান ছড়িয়ে দেওয়া হয় বাতাসে। মোট কার্বন নিঃসরণের প্রায় ৫০ শতাংশ করে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। বিশ্বের শীর্ষ ২০ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ কার্বন নিঃসরণ করে ৮০ শতাংশ (তথ্যসূত্র দেখুন: ৩)।

বিশ্বয়ানের এই যুগে উৎপাদন বৃদ্ধিতে এক দেশ অন্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। আর এটা করতে গিয়ে যথেচ্ছ ব্যবহার করছে কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী জীবাশ্মজ্বালানি। এই পদ্ধতি আপতত দৃষ্টিতে উন্নয়নের মাধ্যম হিসেবে দেখা হলেও আখেরে মানুষ নিজের পায়েই নিজ কুড়াল মারছেন। সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য ডেকে আনছেন অমানিশার কালো মেঘ।

২০১৫ সালে প্যারিসে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে ঐতিহাসিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ১৭৫টি দেশ। চুক্তি অনুযায়ী, এ শতাব্দীর শেষে প্রাক্‌-শিল্পযুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশ নিচে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখার অঙ্গীকার করা হয়েছিল। প্যারিস চুক্তির অন্যতম লক্ষ্য ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা (নেট জিরো)। তবে আইপিসিসির প্রতিবেদন বলছে, বর্তমানে যে গতিতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তা চলতে থাকলে নেট জিরো অর্জন সম্ভব হবে না।

ওই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আরও শঙ্কা জেগেছে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় চলমান জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৬) কার্বন নিঃসরণকারী অন্যতম দেশ চীন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের উপস্থিত না থাকা। অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের আশঙ্কা, এই দুই দেশের নেতারা সম্মেলনে উপস্থিত থাকলে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানোর কাজ সহজ হতো। বিশ্বে সেই সুযোগ হারিয়েছে। যদিও এর আগেই চীন ২০৬০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণে শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রাশিয়াও একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি গ্লাসগো সম্মেলনে উপস্থিত থেকে ২০৭০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ শূন্য আনার ঘোষণা দিয়েছেন। সম্মেলনে সৌদি আরবের সরকারের পক্ষ থেকেও প্রতিশ্রুতি এসেছে। দেশটি ২০৬০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ শূন্যতে নামানোর কথা বলেছে। অস্ট্রেলিয়ার এই প্রতিশ্রুতিতে সময়কাল দেওয়া হয়েছে ২০৫০ সাল। এ ছাড়া ৪০টি বেশি দেশ ২০৫০ সাল নাগাদ কয়লা ব্যবহার বন্ধ এবং আরও ১০০টির মতো দেশ ২০৩০ সাল নাগাদ বন উজাড় বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন (তথ্যসূত্র দেখুন: ৪)।

বিশ্বের এই বিভক্তিকে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো ও এর মোকাবিলা প্রচেষ্টাকে ভঙ্গুর করবে বলে মনে করেন লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক অ্যান্ডি হেইনস। তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা অনেক সময় কার্বন নিঃসরণ, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা ও স্বাস্থ্য সমস্যা আলাদা আলাদাভাবে মোকাবিলা করি। কিন্তু সমন্বিত সমাধানের জন্য এসব লোকজনকে একত্রে কাজ করতে হবে (তথ্যসূত্র দেখুন: ৫)।’

তবে সবশেষ বলতে হয়, আমরা কেউ চাই না, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে বিলীন হয়ে যাক; যেমনটা ডাইনোসর হারিয়ে গেছে কালের বিবর্তে। তাই এখন হুঁশ ফেরান। জলবায়ু পরিবর্তনের করাল গ্রাস থেকে মানবজাতিকে বাঁচান। না হলে একদিন ডাইনোসরের মতোই কোনো একজন আকাশ থেকে বলবেন, ‘ওই যে সমুদ্রের বিশাল জলরাশি দেখছ না, সেখানে আমার পূর্ব-পুরুষেরা একদিন বাস করতেন। মানুষের কর্মের ফলই মানুষকে বিলুপ্ত করেছে। সমুদ্রের তলে তলিয়ে গেছে আধুনিক মানবসভ্যতা।’

তথ্যসূত্র:

১. স্কট এ. কাল্প অ্যান্ড বেঞ্জামিন এইচ স্ট্রস, ন্যাচার কমিউনিকেশনস, ভলিউম-১০, আর্টিকেল নম্বর ৪৮৪৪ (২০১৯)

২. স্কট এ. কাল্প অ্যান্ড বেঞ্জামিন এইচ স্ট্রস, ন্যাচার কমিউনিকেশনস, ভলিউম-১০, আর্টিকেল নম্বর ৪৮৪৪ (২০১৯)

৩. ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রতিবেদন, প্রকাশিত ২ জুন ২০২১

৪. বিবিসির প্রতিবেদন, প্রকাশকাল, ৭ নভেম্বর ২০২১

৫. রয়টার্সের প্রতিবেদন, প্রকাশকাল, ৭ নভেম্বর ২০২১