যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প, উত্তর কোরিয়ার কিম জং-উন, রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন আর সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। চার বিশ্বনেতা প্রায় প্রতিদিনই ঘটিয়ে চলেছেন নতুন নতুন কাণ্ডকারখানা। ট্রাম্পের অদ্ভুত সব কথাবার্তা আর খামখেয়ালিপনায় বিশ্ববাসীর চমক ভাঙতে না ভাঙতেই উত্তর কোরিয়ার উন দিয়ে বসেন নতুন হুঁশিয়ারি। কার কাছে কত বড় পরমাণু বোমা আছে, এ নিয়ে চলতে থাকে দুজনের পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকি। আর দূরে বসে মজা দেখেন পুতিন। ওদিকে আবার সৌদি যুবরাজ সালমান একের পর এক চমক দিয়েই যাচ্ছেন।
চারজনকে নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। পশ্চিমা বিশ্বের গণমাধ্যম বিবিসি, সিএনএন, এএফপি, রয়টার্সের বড় একটা অংশজুড়েই থাকেন এই চারজন। প্রায় একই অবস্থা আমাদের গণমাধ্যমেও। আন্তর্জাতিক সংবাদের বড় একটা অংশজুড়ে চলে চতুষ্টয়ের দাপট।
প্রশ্ন হলো, এই চারজনের প্রতি কেন এত আগ্রহ মানুষের? মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, নতুন, প্রথাবিরোধী, অস্বাভাবিক যেকোনো বিষয়ের প্রতি মানুষের সহজাত আগ্রহ থাকে। অদ্ভুত কর্মকাণ্ড, উল্টাপাল্টা মন্তব্য, সাহস, কূটচাল—এসব আকৃষ্ট করে মানুষকে। তাই প্রথাগত, নরমসরম, ভদ্রগোছের রাজনৈতিক আবর্ত ভেঙে বের হয়ে আসা এই রাজনীতিবিদদের ঘিরে এত আগ্রহ সবার।
ট্রাম্প যেন এক উদ্ভট চরিত্র
যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত যত প্রেসিডেন্ট এসেছেন, অদ্ভুত আর বিদঘুটে সব কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁদের মধ্যে এগিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাজনীতি ও নির্বাচন বিশ্লেষকদের হিসাব–নিকাশ আর ভবিষ্যদ্বাণী অনেকটা উল্টে দিয়েই ক্ষমতায় আসেন ট্রাম্প। প্রশ্ন ওঠে, রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আঁতাতেই নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক উল্টোপাল্টা মন্তব্য, প্রশাসনিক দ্বন্দ্ব আর রদবদলে আলোচিত–সমালোচিত ট্রাম্প। তিনি একেকটা কাজ করেন আর বিশ্ববাসী যেন মজা দেখেন।
ট্রাম্পের হাঁটা, কথা বলা, মুখভঙ্গি—সবই যেন মুখরোচক, রসাল আলোচনার বিষয়। সেই সঙ্গে আছে তাঁর একাধিক নারী কেলেঙ্কারির খবর ফাঁস হয়ে যাওয়া। ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে মান-অভিমানের পর্বও বিশ্ববাসীকে কম আকর্ষণ করে না। ট্রাম্পকে নিয়ে হয় অদ্ভুত অদ্ভুত জরিপ। গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে তাঁর বিচিত্র সব মুখভঙ্গির ছবি। ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা বলছে, গত ৪৬৬ দিনে ট্রাম্প মোট ৩ হাজার ১টি মিথ্যা বলেছেন। অর্থাৎ তিনি দিনে গড়ে সাড়ে ছয়টি মিথ্যা বলেন। স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামে অভিনয় করা স্টেফানি ক্লিফোর্ড নামে এক পর্নো তারকা অভিযোগ তোলেন, মুখ বন্ধ রাখার জন্য ট্রাম্প তাঁকে অর্থ দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও পার পাননি ট্রাম্প। সম্প্রতি এক টুইটে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ার নামের বানানও ভুল করেন ট্রাম্প। মেলানিয়ার অসুস্থতা, জি–৭ সম্মেলনে না যাওয়া নিয়েও কম প্রশ্ন নেই। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্য জীবন আসলে কেমন, তা নিয়েও আগ্রহের শেষ নেই।
ট্রাম্প এমন এক প্রেসিডেন্ট, যার জীবনে রোমান্টিকতা, পাগলামি, নারী কেলেঙ্কারি, ভণ্ডামি, খলনায়কতা—সবকিছুরই রসদ খুঁজে পান পাঠক। সভা-সম্মেলনে সুটেডবুটেড বিশ্বনেতাদের ভালো ভালো বক্তব্যের চেয়ে ট্রাম্পের উদ্ভট কর্মকাণ্ড মানুষকে অনেক বেশি টানে।
কিম জং-উনের পাগলামি
এবার আসা যাক, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের পাগলামি প্রসঙ্গে। কিম জং-উন মানেই যেন রহস্য। কোথায় কখন তিনি ঠিক কী করে বসবেন, তার ঠিকঠিকানা নেই। এ যেন এক সিনেমার চরিত্র। বড়ই অ্যাডভেঞ্চারাস। আর এমন চরিত্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ বরাবরের। পশ্চিমা বিশ্বের দাপটশালী নেতাদের তুষ্ট করতে যখন সবাই ব্যস্ত, তখন উনের লক্ষ্য তাঁদের বুড়ো আঙুল দেখানো। কোনো দাপুটে বিশ্বনেতার চোখ রাঙানিকেই পরোয়া করেন না উন। তাই ক্ষমতাশালীদের দাপটে পিষ্ট পোড় খাওয়া সাধারণ মানুষের আগ্রহের শেষ নেই উনকে ঘিরে। উনের মধ্যে যেন তাঁরা বিদ্রোহ আর প্রতিবাদের রূপ খুঁজে পান, তা তিনি ঠিক আর ভুল আর যে পথেই হাঁটুন না কেন।
উনের ব্যক্তিত্ব রহস্যময়। চুলে তাঁর অদ্ভুত ছাঁট। মুখে মিষ্টি হাসি। দেখে মনে হয়, যেন সাদাসিধে মিষ্টভাষী। মিষ্টি হেসেই একের পর এক চাল চালেন উন। এমন লোকের প্রতি আগ্রহ না জেগে উপায় কী?
অদ্ভুত চরিত্রের কারণেই উনকে নিয়ে নানা সময়ে গণমাধ্যমে ছড়িয়েছে নানা গুঞ্জন। কয়েক বছর আগে কিম জং-উনকে গণমাধ্যমে দেখা যাচ্ছিল না। গুজব ওঠে, তিনি বেঁচে আছেন, না নেই। পরিস্থিতি এমন হয়ে পড়ে যে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে উনকে প্রমাণ করতে হয় যে তিনি মরেননি। তাঁর সব সময়ের সঙ্গী, স্বজন, প্রতিরক্ষা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান জং সাং থায়েককে জনসমক্ষে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে গুঞ্জন ওঠে, এই জেনারেলকে বিপ্লবের চেষ্টা করার শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আর সেই শাস্তিও ভয়ংকর। তাঁকে নাকি জীবন্ত অবস্থায় কুকুর দিয়ে খাওয়ানো হয়েছে। তবে এসব গুঞ্জনই পশ্চিমা গণমাধ্যমের সৃষ্টি। কিম জং-উনের প্রতি বিরূপ মনোভাবের কারণেও পশ্চিমা গণমাধ্যম এমন প্রচারণা চালাতে পারে। উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর শীর্ষ জেনারেলকে কামানের গোলায় উন উড়িয়ে দিয়েছেন বলেও গুঞ্জন ছড়ায় পশ্চিমা গণমাধ্যমে। উনের বক্তৃতার সময় সামনের সারিতে বসে ঘুমানোয় তাঁকে এমন শাস্তি দেওয়া হয়। উনকে নিয়ে এমন সব অদ্ভুত গল্পের শেষ নেই।
উনের চালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও নাজেহাল। পরমাণু বোমা নিয়ে একের পর এক হুমকি দিয়ে যান উন। ট্রাম্পও নেমে পড়েন সে বাগ্যুদ্ধে। দুজনের লড়াই কুস্তি খেলার চেয়ে কম মজাদার নয়। উনকে নিয়ে যে যতই মজা করুক না কেন, তাঁর ক্ষমতা অস্বীকার করার উপায় নেই। দুজনের মন ভেজাতে চেষ্টাও কম হয়নি। দুজনের ঝগড়া নিয়ে মানুষের যত আগ্রহ ততই আগ্রহ দুজনের ভাব নিয়েও। তাই তো ১২ জুন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দুজনের বৈঠক নিয়ে এত জল্পনা আর কল্পনা। উন আর ট্রাম্পের টাক-ঝাল-মিষ্টি সম্পর্ক, উনের পাগলামি কোনো গল্প বা সিনেমার চেয়ে কম আকর্ষণীয় নয় মানুষের কাছে।
চৌকস পুতিন
উন আর ট্রাম্প যখন পরমাণু বোমার শক্তি নিয়ে ঝগড়া করছেন, তখন যেন দূরে বসে মজা দেখছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিনের ক্ষমতা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের তালিকায় পরপর চার বছর ধরে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ায় পুতিনই সর্বেসর্বা। অদ্ভুত এক কৌশলে রাশিয়াকে হাতের মুঠোয় রেখেছেন পুতিন। যেকোনো সিদ্ধান্ত তিনি একাই নিতে পারেন। কেবল রাশিয়াতেই নয়, চাইলে বিশ্বের যেকোনো দেশ নিয়েই নিজের মতো করে খেলতে পারেন পুতিন। মার্কিন সাংবাদিক ও লেখক ফরিদ জাকারিয়া বলেন, পুতিন তাঁর দেশ রাশিয়াকে বোঝেন। বিশ্বব্যবস্থাকেও বোঝেন। ক্ষমতা কীভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা ভালো করেই জানেন এই নেতা। আর তাই একসময়ের শত্রু যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি নিয়েছেন হাতের মুঠোয়। নির্বাচনে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে পুতিন ট্রাম্পকে ক্ষমতায় এনেছেন বলে বাতাসে খবর রয়েছে। ট্রাম্পও যেন পুতিনে মুগ্ধ।
পশ্চিমা বিশ্বকে বুক টান করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন। সবাই যখন পশ্চিমা ধনী দেশগুলোর তোষণে ব্যস্ত, তখন পুতিনই তাঁদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করতে পেরেছেন। এ কারণে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে খলনায়ক হলেও পুতিন অনেকের কাছে নায়ক।
পুতিনের ব্যক্তিত্বই যেন তাঁর সাহসকে ফুটিয়ে তোলে। জিম করা শরীর, চোখে কালো চশমা পরা পুতিন কখন কী করবেন, তা নিয়ে আগ্রহ জাগে সবারই। উন আর ট্রাম্পের রেষারেষিতেও অনেক সময় ইন্ধন দেন পুতিন। অনেক সময় তিনি ট্রাম্পকে উসকেও দেন। পুতিনের মজার মজার ঘটনাও রয়েছে। গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ২০০৭ সালে রুশ প্রেসিডেন্টের গ্রীষ্মকালীন বাসভবনে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। সেখানে পুতিনের পোষা প্রিয় কুকুর দেখে ভয় পেয়ে যান ম্যার্কেল।
ক্ষমতাধর ও চৌকস ব্যক্তিদের প্রতি মানুষের আগ্রহ স্বাভাবিক। পুতিনের এমন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের কারণেই তাঁকে নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই।
সৌদি যুবরাজের চমক
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান মানেই নতুন কিছু। নতুন কোনো চমক। এমন চমক যে তাতে আগ্রহ না জেগে উপায় নেই। প্রতিদিনের একঘেয়ে ঘটনার মধ্যে তিনিই যেন এনে দেন বৈচিত্র্য। আর তাই তো সৌদি যুবরাজের যেকোনো নতুন খবরে যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ে মানুষ।
সৌদি আরবের মতো রক্ষণশীল সমাজে সংস্কার আনতে গিয়ে যেন বিদ্রোহ শুরু করেছেন সালমান। জুন মাস থেকে সৌদি নারীরা গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পেয়েছেন। মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছেন। সৈনিক পদে নিয়োগ পাচ্ছেন সৌদি নারী। নারীদের নিয়ে তাঁর এত সব উদ্যোগ বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। মিডিয়াজুড়েও তিনি পেয়েছেন সমর্থন। সৌদি আরবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়াতে প্রভাব রয়েছে তাঁর।
তারুণ্যকে এগিয়ে নিতে চান যুবরাজ। তাই উপপ্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মন্ত্রিসভাতে এসেছে বদল। সৌদি আরবের শ্রম, ইসলামবিষয়ক ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য নতুন মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বদল এনে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চান যুবরাজ। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র, টেলিযোগাযোগ, পরিবহন ও জ্বালানি, শিল্প ও খনিজ মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এত সব বদল আনা ছাড়াও সৌদি যুবরাজকে নিয়ে কৌতূহলের বড় কারণ তিনি আসলে কী চান, তা বোঝা মুশকিল। চরম মুসলিমবিদ্বেষী ট্রাম্পকে ‘মুসলমানদের সত্যিকারের বন্ধু’ মনে করেন মোহাম্মদ বিন সালমান। ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘদিন ধরে চলা স্বাধীনতার আন্দোলনে সৌদি যুবরাজের অবস্থান খুব বেশি স্পষ্ট নয়। ইসরায়েলের প্রতিও যেন তিনি তিনি অনেকটা নমনীয়।
সৌদি যুবরাজ আসলে কোন কূটচাল চালছেন? ইসরায়েলের প্রতি কেন তিনি বন্ধুত্বের হাত বাড়াচ্ছেন? কেনইবা ট্রাম্পের সুরে সুর মেলাচ্ছেন? সবমিলে তারুণ্যের প্রতীক সৌদি যুবরাজকে নিয়ে রহস্য কম না। এমনকি তাঁর মরা-বাঁচা নিয়েও তৈরি হয়েছে রহস্য। ইরানের গণমাধ্যমগুলো জানায়, গত ২১ এপ্রিল রিয়াদে রাজপ্রাসাদে এক ‘অভ্যুত্থানচেষ্টায়’ গুলিবিদ্ধ হয়ে মোহাম্মদ বিন সালমান মারা গিয়ে থাকতে পারেন। এমন গুঞ্জনের মুখে মে মাসের শেষের দিকে তাঁর একটি নতুন ছবি প্রকাশ করে দেশটির রাজপরিবার। ওই ছবিতে দেখা যায়, যুবরাজ কাউন্সিল ফর ইকোনমিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সভায় সভাপতিত্ব করছেন। আরও টাটকা খবর হলো বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুবরাজ রাশিয়া যাবেন। সৌদি আরব ১৪ জুন রাশিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে। নিজ ফুটবল দলের সমর্থনে তিনি রাশিয়া যাচ্ছেন।
সৌদি যুবরাজ যেন সৌদি রাজপরিবারের নতুন নায়ক। তাঁর কর্মকাণ্ড সবই নাটকীয়তায় ভরা। অনেক সময় তা যেন সিনেমা, নাটককেও হার মানায়।
ট্রাম্প-উন-পুতিন-সালমানের চরিত্র নাটকীয়তা, রহস্য, খামখেয়ালিপনায় ভরা। জলজ্যান্ত এমন সব সিনেমার নায়কদের প্রতি আগ্রহ না জেগে তাই উপায় কী?