জাপানের দিকে প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে যাচ্ছে টাইফুন

টাইফুন ধেয়ে যাচ্ছে জাপানের দিকে।
ছবি:এএফপি

জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের দিকে আজ রোববার প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে যাচ্ছে শক্তিশালী একটি টাইফুন। প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাইশেন’। এর প্রভাবে দেশটিতে প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা সতর্কতা জারি করেছেন, টাইফুনের কারণে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যেতে পারে এবং যানবাহনের ক্ষতি হতে পারে।


এএফপির খবরে জানানো হয়, ওই অঞ্চলের সামুদ্রিক ঝড়ের শক্তির বিচারে হাইশেনটি খুব শক্তিশালী। ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় সময় আজ বিকেলের দিকে প্রশান্ত মহাসাগর ও পূর্ব চীন সাগরকে পৃথক করা কিউশু এলাকার কাছের ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা আমামি এলাকায় এটি আঘাত হানতে পারে।

স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সকাল আটটার দিকে আমামি ওশিমা দ্বীপের ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে হাইশেন অবস্থান করছিল। এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৫২ কিলোমিটার।


জাপানের আবহাওয়া সংস্থা বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছানোর আগে স্থানীয় সময় আজ সন্ধ্যা থেকে আগামীকাল সোমবার ভোরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি কিউশুর উত্তরের দিকে এগিয়ে পশ্চিম উপকূলে যাবে।

জাপানের অগ্নি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলছে, কিউশুর দুই লাখ বাসিন্দাকে স্থানীয় সময় আজ ভোরের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে স্কুল ও স্থানীয় কেন্দ্রগুলোর বদলে অনেকে নিরাপদ এলাকার হোটেলে অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তাঁরা হোটেলগুলোয় আশ্রয় নিয়েছেন।
সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকের খবরে জানানো হয়, টাইফুনের কারণে ৫২৮টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।


জাপানের গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান টয়োটা আগামীকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কিয়াশুর তিনটি কারখানার কার্যক্রম স্থগিত রাখবে। ক্যানন, মিতসুবিশি ইলেকট্রিকসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানও একই পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

জাপানের গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান টয়োটা আগামীকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কিয়াশুর তিনটি কারখানার কার্যক্রম স্থগিত রাখবে। ক্যানন, মিতসুবিশি ইলেকট্রিকসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানও একই পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

পৃথক আরেক ঝড়ে কার্গো জাহাজডুবির ঘটনায় নিখোঁজ নাবিকদের উদ্ধারকাজও স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে টহলরত জাহাজগুলো সাগরে রয়েছে। দায়িত্বরত কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, হাইশেন ওই এলাকা থেকে সরে গেলে আবার উদ্ধারকাজ যাতে শুরু করা যায়, এ জন্যই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।