গন্ডার তাড়াতে হাতি

প্রতীকী ছবি। এএফপি
প্রতীকী ছবি।  এএফপি

বনের গন্ডার লোকালয়ে ঢুকেছে। এরপর পথ হারিয়ে আর ফিরতে পারছে না। গ্রামের মাঠ–ঘাট–সড়কে ঘুরে বেড়াচ্ছে গন্ডারের দল। আতঙ্কে সময় পার করছেন গ্রামবাসী। অবশেষে এ আতঙ্ক থেকে তাঁদের মুক্তি দিতে তলব করা হয়েছে দুটো হাতি। গ্রাম থেকে গন্ডারদের তাড়া করে বনে ফিরিয়ে নেবে হাতি দুটো—এমনটাই প্রত্যাশা কর্তৃপক্ষের।

ঘটনাটি ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের রাজ্য আসামের ব্রহ্মপুত্রঘেঁষা গ্রাম মাজুলিতে। গ্রামের পাশেই বিশাল বন। রয়েছে হাতি, বাঘ, গন্ডারসহ অনেক বন্য প্রাণী। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই গত মঙ্গলবার জানায়, নির্বিঘ্নে দিন কাটছিল মাজুলি গ্রামের বাসিন্দাদের। গত ২৮ জানুয়ারি হঠাৎ পাশের বন থেকে গন্ডারের দল গ্রামে চলে আসে। এর পর থেকে বুনো গন্ডারগুলো গ্রামের সড়কে–মাঠে–খেতে নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

গ্রামে আসা গন্ডারগুলোর ভয়ডর না থাকলে কী হবে, গ্রামবাসী তাদের ভয়ে তটস্থ। যদিও এখনো মানুষের ওপর বুনো গন্ডারগুলো আক্রমণ করেনি কিংবা হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ঘটতে কতক্ষণ! আতঙ্কিত গ্রামবাসী নানা চেষ্টা করেও বুনো গন্ডারদের নিজ আবাসে ফেরাতে পারেননি। যেন গন্ডারগুলো গ্রামে থেকে যাওয়ার পণ করেছে।

শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসী আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে দ্বারস্থ হন বন বিভাগের। বন বিভাগের কর্মীরা আসামের কাজীরাঙ্গা থেকে দুটো হাতি নিয়ে আসেন। জেলা বন কর্মকর্তা (ডিএফও) জয়রাম বড়ুয়া জানান, হাতি দুটোর নাম লক্ষ্মীপ্রসাদ ও হরিপ্রসাদ। হাতি দুটি গন্ডারদের তাড়া করে বনের পথে নিয়ে যাবে। এতে গন্ডারের দল নিরাপদে গ্রাম ছেড়ে নিজস্ব আবাসে ফিরতে পারবে।

তবে মাজুলিতে গন্ডার তাড়াতে হাতি আনার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি গন্ডারদের একই দলটিকে গ্রাম থেকে তাড়াতে লক্ষ্মীপ্রসাদ ও হরিপ্রসাদকে আনা হয়েছিল। জয়রাম বড়ুয়া জানান, ২০ ফেব্রুয়ারি হাতি দুটো গন্ডারের দলটিকে তাড়িয়ে বনের সীমানায় দিয়ে আসে। সেখান থেকে গন্ডারগুলো আবারও গ্রামে চলে এসেছে। তাই হাতি দুটোকে আবার আনা হয়েছে। এখন পুলিশ ও স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের সহায়তা নিয়ে গন্ডার তাড়ানোর অভিযান চালানো হবে।