১২ বছরের একটি শিশু মারা গেছে। শিশুটিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে একটি গরুর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রাণীটিকে আটকও করেছে পুলিশ। সঙ্গে আটক করা হয়েছে গরুর মালিককেও। খুনের অভিযোগে গরুর গ্রেপ্তারের এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাড়া ফেলেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত সপ্তাহে, আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিকেল বেলা দক্ষিণ সুদানের লেকস রাজ্যের একটি খামারের পাশে গরুটি চড়ে বেড়াচ্ছিল। ওই সময় হঠাৎ গরুটি ১২ বছরের ওই শিশুকে আক্রমণ করে বসে। এতে শিশুটি প্রাণ হারায়।
লেকস রাজ্যের পুলিশের মুখপাত্র মেজর এলিজাহ মাবোর জানান, শিশু খুনের দায়ে গরুটিকে আটক করেছে পুলিশ। রামবেক সেন্ট্রাল কাউন্টি পুলিশ স্টেশনে গরুটিতে আটক রাখা হয়েছে। সঙ্গে অভিযুক্ত গরুর মালিকও আটক হয়েছেন। আর শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
খুনের অভিযোগে প্রাণী আটক করা ও বিচারের আওতায় আনার ঘটনা দক্ষিণ সুদানে এবারই প্রথম নয়। এক মাসেরও কম সময় আগে দেশটির লেকস রাজ্যে খুনের অভিযোগে একটি ভেড়াকে আটক করেছিল পুলিশ। প্রাণীটির বিরুদ্ধে ৪৫ বছর বয়সী এক নারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল।
তবে ওই ঘটনায় ভেড়ার মালিকের দায় ছিল না বলে জানিয়েছিল পুলিশ। তাই তাঁকে আটক করা হয়নি।
খুনের ওই ঘটনা আদালতে গড়ায়। এতে খুনের সঙ্গে ভেড়ার সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়। দক্ষিণ সুদানের লেকস রাজ্যের রামবেক শহরের একটি আদালত অভিযুক্ত ভেড়াটিকে তিন বছরের
কারাদণ্ড দেন। তবে খুনের শিকার হওয়া নারীর নাম–পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। নিহত ওই নারীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। এ জন্য ভেড়ার মালিককে ওই পরিবারকে পাঁচটি গরু দিতে হয়। আদালতের নির্দেশে ভেড়ার কারাদণ্ডের বিষয়টি ওই সময় বেশ আলোচনার জন্ম দেয়।