* বিশ্বের ২৭ কোটি মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে
* প্রায় তিন কোটি মানুষ ক্ষুধায় মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা
* পৃথিবীতে শতকোটিপতির সংখ্যা প্রায় দুই হাজার
* এই ধনী ব্যক্তিদের হাতে আট ট্রিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ আছে।
ক্ষুধার জ্বালা কমাতে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের কাছে সাহায্য চেয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ২৭ কোটি মানুষ অনাহারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচি বিভাগের প্রধান ডেভিড বিসলে বলেছেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি থেকে সাহায্য না পেলে প্রায় তিন কোটি মানুষ ক্ষুধায় মারা যেতে পারে। খবর রয়টার্সের।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ডেভিড বিসলে জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৭ কোটি মানুষ অনাহারে ভোগার ঝুঁকিতে রয়েছে। চলতি বছর বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি থেকে ১৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষকে খাদ্যসহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। তিনি বলেন, ‘এক বছরের জন্য আমাদের প্রয়োজন ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি থেকে সাহায্য না পেলে তিন কোটি মানুষ মারা যেতে পারে।’ বিসলে আরও উল্লেখ করেন, পৃথিবীতে শতকোটিপতিদের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। এসব ধনী ব্যক্তির হাতে আট ট্রিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ আছে। অনেকে এই মহামারির মধ্যেও শত শত কোটি ডলার আয় করেছেন।
বিসলে বলেন, ‘আমি মানুষের অর্থ আয়ের বিরোধিতা করছি না। কিন্তু আমাদের জীবদ্দশাতেই মানবতা ঘোরতর সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।’
সম্প্রতি ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজের (আইপিএস) এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, করোনা মহামারির এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের শতকোটিপতিদের সম্পদ ১৯ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থের হিসাবে এটি হয় এক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্ধেক। গত জুনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
গত ১৮ মার্চের পর ১১ সপ্তাহ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে লকডাউন শুরু হয়। ওই সময় থেকে আমাজন ডটকম ইনকরপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদ বেড়েছে ৩৬ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গের সম্পদ বেড়েছে ৩০ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। আর টেসলার প্রধান নির্বাহী এলন মাস্কের সম্পদ বেড়েছে ১৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার।
ডেভিড বিসলে বলেন, ‘বিশ্বের ইতিহাসের এই অভূতপূর্ব সময়ে যাঁদের সম্পদ কম, তাঁদের সহযোগিতা করার সময় এসেছে। এখন এমন সময় এসেছে, যখন যাঁদের সম্পদ বেশি আছে, তাঁদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের এখনই আপনাদের প্রয়োজন এবং সঠিক কাজ করার সময় এসে গেছে।’