নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যাকারী ব্রেন্টন টারান্ট আরেকটি মসজিদে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। গত বছরের ১৫ মার্চ ওই ভয়াবহ হামলা হয়।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, আজ সোমবার সকালে ক্রাইস্টচার্চে এ মামলার সাজা ঘোষণার শুনানি শুরু হয়েছে। সেখানেই হামলাকারীর এ পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে।
শুনানিতে বলা হয়, ব্রেন্টন টারান্ট নামের ওই হামলাকারী তৃতীয় আরেকটি মসজিদে হামলা চালানোর পরিকল্পনার পাশাপাশি মসজিদগুলো পুড়িয়ে দিতেও চেয়েছিলেন। এর পাশাপাশি ‘যত বেশি লোককে সম্ভব হত্যা করতে’ চেয়েছিলেন।
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে জুমার নামাজের পর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন ছিলেন বাংলাদেশের নাগরিক।
২৯ বছর বয়সী টারান্ট যাবজ্জীবন কারাবাসের শাস্তি পাবেন। সম্ভবত কোনো প্যারোলও পাবেন না তিনি।
বন্দুকধারী টারান্ট হামলার ঘটনা সরাসরি অনলাইনে সম্প্রচার করেছিলেন। প্রথমে তিনি আল নুর মসজিদে হামলা চালান। এরপর তিনি পাঁচ কিলোমিটার দূরের লিনউড মসজিদে গিয়ে হামলা চালান এবং আরও মানুষ হত্যা করেন।
আজ ক্রাইস্টচার্চের স্থানীয় সময় সকালে শুনানি শুরু হয়। আদালতকক্ষে বন্দুকধারী ব্রেন্টন টারান্টের পাশে তিন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। টারান্ট চুপচাপই ছিলেন। মাঝেমধ্যে ওই হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি এবং নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়রা কক্ষের যেদিকে ছিলেন, সেদিকে তাকাচ্ছিলেন। কোভিড-১৯–এর কারণে কড়াকড়িতে আদালতকক্ষ অনেকটা ফাঁকা ছিল।