২০২১ সালের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা উৎসর্গ করা হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। আগামী বছর কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি হবে বাংলাদেশ। কলকাতা বইমেলায় এবার অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের ৪১টি প্রকাশনা সংস্থা। মেলা উদ্বোধন করা হবে ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায়।
কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা এবার ৪৪ বছরে পা দিচ্ছে। বইমেলার থিম কান্ট্রি রাশিয়া। মেলার উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকছেন ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত কুদাসেভ নিকোলাই রিশাতোভিচ।
বইমেলায় বাংলাদেশসহ ২০টি দেশ যোগ দিচ্ছে। রাশিয়া, কোস্টারিকা, স্পেন, স্কটল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, গুয়াতেমালা, আর্জেন্টিনা থেকে আসবেন কবি, সাহিত্যিক ও লেখকেরা। বইমেলায় আয়োজিত সাহিত্য উৎসবে তাঁরা যোগ দেবেন। এসব দেশের পাশাপাশি বইমেলায় যোগ দেবে জাপান, হাঙ্গেরি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, মেক্সিকো, ভিয়েতনাম ও পেরু।
আজ শনিবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে নিযুক্ত হেড অব চ্যান্সারি ও মিনিস্টার (রাজনৈতিক) বি এম জামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এবারের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন তৈরি হচ্ছে শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবনের আদলে। এই প্যাভিলিয়নে ঠাঁই পাবে বাংলাদেশের ৪১টি প্রকাশনা সংস্থার বই। এর মধ্যে নয়টি থাকছে সরকারি প্রকাশনা সংস্থা।
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি বইমেলার সমাপ্তি দিনে উদ্যাপিত হবে বাংলাদেশ দিবস। ওই দিন বাংলাদেশ থেকে যোগ দেবেন প্রথিতযশা কবি, সাহিত্যিক, লেখক, বুদ্ধিজীবীসহ মন্ত্রী ও সাংসদেরা। বি এম জামাল হোসেন জানান, আগামী বছর বইমেলার থিম কান্ট্রি হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ঘিরে আগামী বছরের বইমেলা উৎসর্গ করা হবে বঙ্গবন্ধুর নামে।
সল্ট লেকের সেন্ট্রাল পার্কে অনুষ্ঠিতব্য এবারের বইমেলায় কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ৬০০ প্রকাশনা সংস্থা যোগ দিচ্ছে। আরও যোগ দিচ্ছে ২০০টি লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশনা সংস্থা। সদ্য প্রয়াত সাহিত্যিক নবনীতা দেব সেন এবং বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব গিরিশ কারনাডের স্মরণে তৈরি করা হচ্ছে দুটি প্যাভিলিয়ন। লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়নের নামকরণ করা হয়েছে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের নামে। প্রেস কর্নারের নামকরণ করা হয়েছে দৈনিক বর্তমানের প্রয়াত সম্পাদক শুভা দত্তের নামে। আর মুক্তমঞ্চের নামকরণ করা হয়েছে সাহিত্যিক অদ্রীশ বর্ধনের নামে।
এবারের বইমেলার মূল স্লোগান ‘বই কিনুন, লাইব্রেরি জিতুন’। বইমেলায় আগত বইপ্রেমীদের জন্য লটারির আয়োজন করা হয়েছে প্রতিদিন। লটারি বিজয়ীরা প্রতিদিন পাবেন ১৫ হাজার রুপির বই। পাঁচজন বিজয়ীকে দেওয়া হবে ২৫ হাজার রুপির বই এবং সেরা বিজয়ী পাবেন ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার গড়ার জন্য বই।