করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী লাখো শিশুর জীবন বাড়তি ঝুঁকির দিকে যাচ্ছে। গত কয়েক দশকে শিশুর মৃত্যুহার কমাতে যে অগ্রগতি হয়েছিল, কোভিড–১৯–এর কারণে তা উল্টে যেতে পারে। আজ বুধবার এসব কথা বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
গত ৩০ বছরে অপরিণত অবস্থায় জন্ম ও নিউমোনিয়ার কারণে শিশুর মৃত্যু রোধে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়।
এএফপির খবরে জানানো হয়, জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের প্রকাশিত মৃত্যুর নতুন তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে কম দেখা গেছে। গত বছর নিরাময়যোগ্য অসুখে ৫২ লাখ শিশু মারা যায়। ১৯৯০ সালে এমন অসুখে মারা যায় ১ কোটি ২৫ লাখ শিশু।
তবে করোনার ঝুঁকির কারণে শিশুদের নিয়মমাফিক মানসিক ও শারীরিক পরীক্ষার হার কমে গেছে। ৭৭ দেশে পরিচালিত ইউনিসেফের জরিপ বলছে, ৬৮ শতাংশ শিশুর শারীরিক পরীক্ষা ও টিকাদান কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফর বলেন, কোভিড–১৯–এর কারণে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় শিশু ও মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় জরুরি বিনিয়োগ না দিলে নবজাতক ও পাঁচ বছরের নিচের কয়েক লাখ শিশুর মৃত্যু হতে পারে।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, করোনায় স্বাস্থ্যসেবা এভাবে ব্যাহত হতে থাকলে দিনে ছয় হাজার অতিরিক্ত শিশুর মৃত্যু হতে পারে।
জরিপে দেখা গেছে, গত বছর সাতটি দেশে জন্ম নেওয়া শিশুদের মধ্যে হাজারে পঞ্চাশের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ইউনিসেফ বলছে, আফগানিস্তানে প্রতি ১৭ জনে ১ জন শিশু তাদের পঞ্চম জন্মদিনের আগেই মারা যায়।