করোনার সংক্রমণের আশঙ্কার মধ্যেই স্কুলে ফিরছে ইউরোপের শিশুরা। আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। প্রায় ছয় মাস পর ইউরোপজুড়ে বন্ধ স্কুলের দরজা শিশুদের জন্য খুলছে। তবে ইউরোপে এখনো করোনার সংক্রমণের হার বাড়ছে।
করোনার সংক্রমণ অব্যাহত থাকার মধ্যে স্কুল খুলে দেওয়া নিয়ে অনেক শিক্ষক ও অভিভাবক উদ্বিগ্ন। তাঁরা বলছেন, স্কুল খোলায় করোনার বিস্তার বাড়তে পারে। তবে ইউরোপের সরকারগুলো স্কুল খুলে দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়।
ফ্রান্সের শিশুরা আজ স্কুলে ফিরছে। বেলজিয়ামের শিশুরাও আজ স্কুলে ফিরছে। গ্রিসে আগামী সোমবার স্কুল খুলবে বলে আশা করা হচ্ছে। জার্মানিতে অবশ্য গত মাসেই স্কুল খোলে।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্কুলের ভেতরে-বাইরে মাস্ক পড়তে হবে।
গ্রিসে স্কুলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হবে। প্রত্যেক ক্লাসে সর্বোচ্চ ২৫ জন শিশু থাকবে।
যুক্তরাজ্যে চলতি সপ্তাহে স্কুলে ফিরেছে শিশুরা। প্রথমে সরকার বলেছিল, স্কুলে মাস্ক অপরিহার্য নয়। কিন্তু পরে তারা এই অবস্থান থেকে সরে আসে।
স্পেন সরকার বলেছে, ছয় বছরের ঊর্ধ্বে সব শিশুকে সব সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। এ ছাড়া দিন অন্তত পাঁচবার তাদের হাত ধুতে হবে। শিশুদের অবশ্যই পরস্পর থেকে পাঁচ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তবে এসব পদক্ষেপকে যথেষ্ট মনে করছেন না অনেক শিক্ষক ও অভিভাবক।