দীর্ঘ ৩৫ বছরেরও বেশি সময় পর আবারও ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ওই রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় তখনকার প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন।ওয়াশিংটনে ওয়াটারগেট কমপ্লেক্স ভেঙে ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির কার্যালয়ে অনুপ্রবেশ সম্পর্কে রিচার্ড নিক্সন ঠিক কী জানতেন, তা তদন্ত করে দেখার জন্য ফরেনসিক তদন্তকারীদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির কার্যালয়ে অভিযান সম্পর্কে তিনি কতটুকু অবগত ছিলেন, সেটা জানার জন্যই এ তদন্ত চালানো হচ্ছে।যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাফেজখানা কর্তৃপক্ষ তদন্তকারী নিয়োগ করেছে। প্রেসিডেন্ট নিক্সনের সঙ্গে বৈঠকের সময় হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ এইচ আর হেলডেম্যান যে নোট নিয়েছিলেন, তা বিশ্লেষণ করবেন তদন্তকারীরা। ওয়াটারগেট কমপ্লেক্স ভেঙে ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির কার্যালয়ে অনুপ্রবেশের ঘটনায় নিক্সনের নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের তিন দিন আগে বৈঠকটি হয়েছিল।দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে বলা হয়, তদন্তকারীদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বৈঠকের অডিও রেকর্ডের যে সাড়ে আঠারো মিনিট মুছে গেছে, ওই সময়জুড়ে নিক্সন ও হেলডেম্যান কী আলোচনা করেছিলেন, সেটা উদ্ধার করা।মুছে যাওয়া টেপ থেকে রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা এক অর্থে ছেড়েই দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যোগসূত্রের সন্ধানে টেপের পরিবর্তে এখন তাঁরা হেলডেম্যানের নেওয়া নোট বিশ্লেষণ করে দেখবেন।বিশেষজ্ঞরা ইলেকট্রোস্ট্যাটিক বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করবেন। কাগজের ওপর লেখার সময় কলমের চাপে কাগজের মধ্যে যে দাগ পড়ে, ওই পদ্ধতির সাহায্যে সেই দাগ বিশ্লেষণ করা সম্ভব। এ ছাড়া হাইপারস্পেকট্রাল ইমেজিং ও ভিডিও স্পেকট্রাল তুলনা পদ্ধতিও ব্যবহার করবেন তদন্তকারীরা। আগামী বছরের শুরুর দিকে তদন্তের ফলাফল পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পিটিআই।