মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের শপথগ্রহণের পর প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেছে তাঁর প্রশাসন। বাইডেন প্রশাসনের হয়ে স্থানীয় সময় বুধবার প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সামনে আসেন হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব জেন সাকি। তিনি জানান, আমেরিকানদের আস্থা ফিরিয়ে আনা হবে বাইডেন প্রশাসনের মূল লক্ষ্য।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে প্রথম প্রশ্ন করেন বার্তা সংস্থা এপির সাংবাদিক। জেন সাকিকে জিজ্ঞেস করা হয়, কীসে তাঁর অগ্রাধিকার বেশি থাকবে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আগ্রহে নাকি সবার কাছে অপত্য সত্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে?
জবাবে সাকি বলেন, ‘স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। আমাদের হয়তো মতের অমিল হতে পারে। কিন্তু আমাদের সবার লক্ষ্য একই। তা হচ্ছে, আমেরিকানদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছানো।’ সাকি আরও বলেন, তিনি সরকারের মধ্যে স্বচ্ছতা এবং সত্য ফিরিয়ে আনতে বাইডেনের সঙ্গে কাজ করবেন।
জেন সাকি জানান, আমেরিকানদের আস্থা ফিরিয়ে আনাই হবে বাইডেন প্রশাসনের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আমাকে এই কাজের প্রস্তাব দেওয়ার পর শুরুতেই আমরা সংবাদ সম্মেলন কক্ষে সত্যতা ও জবাবদিহি ফিরিয়ে আনার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করি।’
আপাতত নির্বাহী আদেশসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে স্বাক্ষর ও সবার সঙ্গে পরিচিতি পর্ব সেরে নিচ্ছেন বাইডেন। সাকি জানান, স্থানীয় সময় আগামী শুক্রবার থেকে তিনি বিদেশি নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলা শুরু করবেন। সবার আগে তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ফোন করবেন। আপাতত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলার কোনো পরিকল্পনা বাইডেনের নেই বলে জানান সাকি।
হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন শুরুতে বন্ধু রাষ্ট্রের প্রধানদের ফোন করবেন। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করাকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।
ওভাল অফিসে বাইডেনের উদ্দেশে লেখা চিঠি রেখে গেছেন সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে কী লেখা ছিল, তা জানতে চেয়েছিলেন এক সাংবাদিক। জবাবে জেন সাকি বলেন, ট্রাম্পের চিঠি খোলার সময় তিনি বাইডেনের সঙ্গেই ছিলেন। চিঠির ভাষা ‘উদার ও অমায়িক’ ছিল। তবে বাইডেন তাঁর উদ্দেশে লেখা ব্যক্তিগত চিঠির বিষয়ে কোনো তথ্য দেবেন না। সাকি আরও বলেন, বাইডেন ও ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনার কোনো পরিকল্পনা ছিল না।