গণহত্যার আন্তর্জাতিক সনদ লঙ্ঘন করে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) শুনানি আজ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে গাম্বিয়া আইসিজেতে ওই মামলা করেছে। রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেওয়া এবং রাখাইনে গণহত্যার আলামত নষ্টের বিভিন্ন উপাদান উল্লেখ করে গাম্বিয়ার করা অন্তর্বর্তী পদক্ষেপের নির্দেশনার বিষয়ে তিন দিনের এই শুনানি হচ্ছে।
দ্য হেগের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রোহিঙ্গা এবং মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শুনানি শুরু হয়। গাম্বিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সে দেশের আইন ও বিচারমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু। মিয়ানমারের নেতৃত্বে থাকছেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। শুনানির শুরুতে আইসিজের প্রেসিডেন্ট আবদুলকোয়াই আহমেদ ইউসুফ শুনানির প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিচারকক্ষে উপস্থিত সুধীজনদের অবহিত করেন।
গাম্বিয়ার প্রস্তাবিত পক্ষে নাভি পিল্লাই এবং মিয়ানমারের ক্লাউস ক্রেসকে এডহক বিচারপতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এডহক বিচারপতিদের শপথের মধ্য দিয়ে শুনানির প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর আইসিজের রেজিষ্ট্রার ফিলিপ গোতিয়ে অন্তর্বর্তী পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে গাম্বিয়া আবেদনে যা বলেছে, তা পড়ে শোনান।
গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু কেন মিয়ানমার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। এরপর তিনি জানান আবেদনের পক্ষে কারা কী বিষয়ে কথা বলবেন।
এরপর রাখাইনে গণহত্যা নিয়ে কথা বলেন অধ্যাপক পায়াম আখাভান। তিনি বলেন, মঙ্গলবার গণহত্যা সনদের ৭০তম বার্ষিকী ছিল। কিন্তু এই সনদের আলোকে গণহত্যা বন্ধ হয়নি। গণহত্যার সনদ কীভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে, সেটা তুলে ধরেন তিনি। জাতিসংঘ তদন্তকারীরা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোয় রাষ্ট্রীয় ভূমিকার কথা বলেন। তদন্তে গণহারে হত্যাযজ্ঞ পরিচালনার প্রমাণ মিলেছে, যা সনদের লঙ্ঘন। গণহত্যা সনদ ও আইসিসির রায়ে যে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতাকে গণহত্যার মতো অপরাধ গণ্য করা হয়েছে, জাতিসংঘ তদন্তে সে ধরনের অপরাধের বর্ণনা রয়েছে।
এখন বক্তৃতা দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবী অ্যান্ড্রু লোয়েনস্টেইন।