যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনার টিকার তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল আবার শুরু হয়েছে। টিকার ট্রায়ালে থাকা এক স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়ায় ট্রায়াল স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। অক্সফোর্ডের সঙ্গে এ টিকা বানানোয় কাজ করছে ওষুধ কোম্পানি অ্যাসট্রোজেনেকা। এ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আজ শনিবার এক বিবৃতিতে নতুন করে ট্রায়াল শুরুর কথা জানানো হয়। খবর এএফপির।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অক্সফোর্ড-অ্যাসট্রোজেনেকার করোনার টিকা এজেড১২২১ এর ট্রায়াল আবার শুরু হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ‘মেডিসিনস হেলথ রেগুলেটরি অথরিটি’ (এমইইচআরএ) এটিকে নিরাপদ বলে অনুমোদন দেওয়ার পরই ট্রায়াল আবার শুরু হয়েছে।’
গত বুধবার অ্যাসট্রোজেনেকার পক্ষ থেকে বলা হয়, এক স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়ায় টিকার ট্রায়াল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
কোম্পানির পক্ষ থেকে অসুস্থতার কোনো কারণ না জানানো হলেও একাধিক গণমাধ্যমে বলা হয়, ওই ব্যক্তি ‘ট্রান্সভার্স মাইলিটিসি’ অসুখে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এতে স্পাইনাল কর্ডের (স্নায়ু রজ্জু) ব্যথা হয়।
টিকার নিরাপত্তা দেখার জন্য একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করা হয়। অ্যাসট্রোজেনকা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই পদক্ষেপকে রুটিন কাজের অংশ বলেই জানায়।
অ্যাসট্রোজেনেকা বলেছে, ‘ওই কমিটি তাদের তদন্তের কাজ শেষ করেছে এবং এমএইচআরএকে বলেছে এটির ট্রায়ালে কোনো অসুবিধা নেই।
এখন সারা বিশ্বে করোনার যে নয়টি টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে এর মধ্যে অ্যাসট্রোজেনেকা ও অক্সফেোর্ডের এই টিকা অন্যতম।
যুক্তরাজ্য ছাড়াও এখন ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্র এ টিকার ট্রায়াল চলছে। গত ৩১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে এ টিকার ট্রায়াল শুরু হয়েছে। এ দেশে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর এর প্রয়োগ হবে।
অ্যাসট্রোজেনেকার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবীদের নিরাপত্তার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর এখানে সর্বোচ্চ মানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। আমাদের প্রতিষ্ঠান বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে তাদের কাজ চালিয়ে যাবে।’