সেসনা ১৭২এম বিমান থেকে তোলা ছবিতে কুপারটিনোতে অ্যাপলের সদর দপ্তর ‘অ্যাপল পার্ক’। এর ভবনের ছাদে বসানো সোলার প্যানেল থেকে ১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। ছাদে বসানো সোলার প্যানেলের মধ্যে বিশ্বে এটি সবচেয়ে বড়।
সেসনা ১৭২এম বিমান থেকে তোলা ছবিতে কুপারটিনোতে অ্যাপলের সদর দপ্তর ‘অ্যাপল পার্ক’। এর ভবনের ছাদে বসানো সোলার প্যানেল থেকে ১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। ছাদে বসানো সোলার প্যানেলের মধ্যে বিশ্বে এটি সবচেয়ে বড়।

প্রযুক্তির এই দিনে: ১ এপ্রিল

প্রতিষ্ঠিত হলো অ্যাপল কম্পিউটার

স্টিভ জবস, স্টিভ ওজনিয়াক ও রোনাল্ড ওয়েনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যালটোসে অ্যাপল কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেন।

১ এপ্রিল ১৯৭৬
প্রতিষ্ঠিত হলো অ্যাপল কম্পিউটার
স্টিভ জবস, স্টিভ ওজনিয়াক ও রোনাল্ড ওয়েনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যালটোসে অ্যাপল কম্পিউটার প্রতিষ্ঠা করেন। স্টিভ জবসের বাবার বাড়ির গ্যারেজে যাত্রা শুরু হয়েছিল অ্যাপলের। বতর্মানে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হলো অ্যাপল ইনকরপোরেটেড। মার্কিন বহুজাতিক এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালির কুপারটিনোতে।
অ্যাপল ইলেকট্রনিকস পণ্য, কম্পিউটার সফটওয়্যার ও বিভিন্ন অনলাইন সেবার নকশা, উন্নয়ন ও বিক্রয় করে। অ্যাপলের তৈরি যন্ত্রগুলোর মধ্য আছে আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাক কম্পিউটার, অ্যাপল ওয়াচ, ভিশন প্রো ও অ্যাপল টিভি। এ ছাড়া আইওএস, আইপ্যাডওএস ও ম্যাকওএস অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আইটিউনস, আইক্লাউড, অ্যাপল মিউজিক ও অ্যাপল টিভি প্লাস সেবাও দেয় অ্যাপল। ২০১১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত পুঁজির দিক থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কোম্পানি ছিল অ্যাপল। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এই স্থান দখল করে মাইক্রোসফট।

অ্র্যাপলের তিন প্রতিষ্ঠাতা (বাঁ থেকে) স্টিভ জবস, রোনাল্ড ওয়েনে ও স্টিভ ওজনিয়াক

১৯৭৬ সালে অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল স্টিভ ওজনিয়াকের অ্যাপল–১ পারসোনাল কম্পিউটার তৈরি ও বিপণন করার জন্য। ১৯৭৭ সালে স্টিভ ওজনিয়াক ও স্টিভ জবস মিলে অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানিকে ইনকরপোরেটেড করেন। অ্যাপলের দ্বিতীয় কম্পিউটার অ্যাপল–টু ব্যাপকভাবে উৎপাদিত প্রথম মাইক্রোকম্পিউটার। এরপর ১৯৮৩ সালে অ্যাপল লিসা ও ১৯৮৪ সালে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটার বাজারে আনে। এ দুটি কম্পিউটার মাউস ও ছবিভিত্তিক কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসের কারণে কম্পিউটার প্রযুক্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে। ১৯৮৫ সালে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কালেন স্টিভ জবস অ্যাপল ছেড়ে দিয়ে নেক্সট ইনকরপোরেটেড প্রতিষ্ঠা করেন। স্টিভ ওজনিয়াকও অ্যাপল ত্যাগ করেন।

১৯৮৪ সালে ডেস্কটপ প্রকাশনা শিল্পে বিপ্লব আনে অ্রাপল ম্যাকিনটোশ কম্পিউটার

১৯৯৭ সালে অ্যাপল দেউলিয়া হতে যাচ্ছিল। দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে অ্যাপলের কাছে নেক্সট বিক্রি করে আবার অ্যাপলে ফিরে আসেন স্টিভ জবস। ব্যর্থ অপারেটিং সিস্টেমের কৌশলে পরিবর্তন আনেন তিনি। পরবর্তী এক দশকের বেশি সময় অ্যাপল পরিচালনার দিকনির্দেশনা দেন জবস। তিনি আইম্যাক, আইপড, আইফোন ও আইপ্যাড বাজারে আনেন। সে সময় ‘থিঙ্ক ডিফারেন্ট’ প্রচারণাও শুরু করে অ্যাপল। পাশাপাশি বিশ্বের বড় বড় শহরে পণ্য বিক্রির জন্য অ্যাপল স্টোরও চালু করা হয়। স্বাস্থ্যগত কারণে ২০১১ সালে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদ থেকে সরে দাঁড়ান জবস। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন টিম কুক।

অ্যাপলের আরেকটি বৈপ্লবিক পণ্য আইফোন

২০১৮ সালের আগস্টে প্রথম মার্কিন কোম্পানি হিসেবে পুঁজিবাজারে ১ ট্রিলিয়ন (১ লাখ কোটি = ১ ট্রিলিয়ন) ডলারের বেশি মূল্যের কোম্পানি হয় অ্যাপল। ২০২০ সালের আগস্টে অ্যাপলের মূল্য ২ ট্রিলিয়ন ও ২০২২ সালের জানুয়ারিতে কোম্পানির মূল্যমান দাঁড়ায় ৩ ট্রিলিয়নের বেশি। গত বছরের হিসাবে অ্যাপলের মোট কর্মীর সংখ্যা ১ লাখ ৬১ হাজার।

টিরোস, প্রথম ওয়েদার স্যাটেলাইট

১ এপ্রিল ১৯৬০
নাসার প্রথম পূর্ণাঙ্গ আবহাওয়া স্যাটেলাইট টিরোস
টিরোস (টেলিভিশন ইনফ্রারেড অবজারভেশন স্যাটেলাইট) নামে বিশ্বের প্রথম আবহাওয়াবিষয়ক কৃত্রিম উপগ্রহ বা ওয়েদার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। এটি প্রথমবারের মতো পৃথিবীতলের বড় ছবি তোলে, যেগুলো বিশ্লেষণ করে আবহাওয়াবিদ ও বিজ্ঞানীরা আবহাওয়ার পূর্বাভাস তৈরি করতে পারেন। এর আগে ভ্যানগার্ড–২ নামে প্রথম পরীক্ষামূলক ও নমুনা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছিল নাসা।

জিমেইল এখন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ই–মেইল সেবা

১ এপ্রিল ২০০৪
জিমেইলের ঘোষণা, অনেকে ভেবেছিলেন গুগলের ‘এপ্রিল ফুল’
ওয়েবভিত্তিক ই–মেইল সেবা জিমেইলের ঘোষণা দেয় গুগল। তবে বেশির ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ঘোষণাটি বিশ্বাস করেননি। ভেবেছিলেন এটাও বুঝি গুগলের এপ্রিল ফুল। এর কারণ হলো গুগলের দুই প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন বাস্তব কৌতুক বা প্র্যাঙ্ক করতে পছন্দ করতেন। গুগল প্রতিষ্ঠার পর প্রতিবছর ১ এপ্রিল ইন্টারনেটে কোনো না কোনো প্র্যাঙ্ক করে ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতেন তাঁরা। একবার ১ এপ্রিল চন্দ্রপৃষ্ঠের কোপারনিকাস গবেষণাকেন্দ্রের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গুগল।
কিন্তু এই ১ এপ্রিলেই গুগলের দারুণ কিছুর ঘোষণা দিতে চেয়েছিলেন দুই প্রতিষ্ঠাতা। তাই ১ এপ্রিল শেষ বিকেলে জিমেইলের ঘোষণা দেওয়া হয়। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ১৫০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী জিমেইল ব্যবহার করে ই–মেইল আদান–প্রদান করেন। বিনা মূল্যে ব্যবহারের সুবিধাসহ নির্দিষ্ট ফি দিয়ে জিমেইলের বেশ কিছু বিশেষ সেবা ব্যবহার করা যায়।