শীর্ষ সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট করপোরেশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও প্রধান সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট এবং সেই সময়ের শীর্ষ ধনী বিল গেটস ঢাকা সফরে আসেন।
সমান্তরাল প্রসেসিং প্রযুক্তির সুপারকম্পিউটার ডিপ ব্লু বাজারে ছাড়ে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস (আইবিএম) করপোরেশন।
৫ ডিসেম্বর ২০০৫
বিল গেটসের ঢাকা সফর
শীর্ষ সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট করপোরেশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও প্রধান সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট এবং সেই সময়ের শীর্ষ ধনী বিল গেটস ঢাকা সফরে আসেন। স্ত্রী (বর্তমানে প্রাক্তন) মেলিন্ডা গেটসকে সঙ্গে নিয়ে সকাল সাড়ে সাতটায় তিনি ঢাকায় আসেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা, শিশুস্বাস্থ্যে সহযোগিতা করে তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। ঢাকায় এসব ক্ষেত্রে ব্র্যাকের কিছু প্রকল্প এলাকা তিনি পরিদর্শন করেন। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্রের প্রকল্পও দেখেন।
দুপুরের পরপর বিল গেটস তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এরপর বিকেলে হোটেল শেরাটনে (বর্তমান ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকা) কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক করেন তিনি। এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মাইক্রোসফটের ‘পার্টনারস-ইন-লার্নিং’ সমঝোতা চুক্তি সই হয়। শেরাটন হোটেলে সংবাদ সম্মেলন ও সুধী সমাবেশে বিল গেটস জানান, তাঁদের পরবর্তী অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ভিস্তা ও অফিস-১২ সফটওয়্যারে বাংলাদেশের বাংলা যোগ হচ্ছে।
৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিল গেটস ভারতের দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। ঢাকায় বিল গেটসের প্রায় ১২ ঘণ্টার এই সফর দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তখন নতুন উৎসাহের সৃষ্টি করেছিল। এর এক বছর আগে ঢাকায় মাইক্রোসফট বাংলাদেশ অফিস চালু হয়েছিল।
৫ ডিসেম্বর ১৯৯৫
আইবিএমের দাবাড়ু কম্পিউটার ডিপ ব্লু
সমান্তরাল প্রসেসিং প্রযুক্তির সুপারকম্পিউটার ডিপ ব্লু বাজারে ছাড়ে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস (আইবিএম) করপোরেশন। দাবা খেলার জন্য বিশেষ উপযোগী করে তৈরি হয়েছিল ডিপ ব্লু। সেই সময় দাবায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন গ্যারি ক্যাসপারভকে হারিয়ে দিয়েছিল এই কম্পিউটার। ডিপ ব্লু তৈরি শুরু হয় ১৯৮৫ সালে কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ে, ‘চিপ টেস্ট’ প্রকল্পের নামে। এরপর এটি আসে আইবিএমে। এখানে প্রথমে ‘ডিপ থট’ নাম দেওয়া হয়। পরে ১৯৮৯ সালে এর নামকরণ হয় ডিপ ব্লু।
১৯৯৬ সালে ডিপ ব্লু কম্পিউটার ছয় গেমের ম্যাচ খেলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন গ্যারি ক্যাসপারভের সঙ্গে। এতে ৪-২ গেমে হেরে যায় ডিপ ব্লু কম্পিউটার। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করে আবার ১৯৯৭ সালে দাবার বোর্ডে নামে ডিপ ব্লু। এবার গ্যারি ক্যাসপারভকে হারিয়ে দেয় এই সুপারকম্পিউটার। ছয় গেমের মধ্যে দুটি জিতেছিল ডিপ ব্লু, আর তিনটিতে হয়েছিল ড্র। ডিপ ব্লুর এই বিজয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির একটি মাইলফলক অর্জন হিসেবে স্বীকৃত।