যুক্তরাজ্যের একটি অভিজাত কলেজের শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর বিধিনিষিধ আরোপ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোনের বদলে নকিয়ার পুরোনো মডেলের ফোন ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের অন্যতম প্রভাবশালী ও অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইটন কলেজ। ইটন কলেজ প্রাঙ্গণে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
বিখ্যাত ইংরেজ লেখক জর্জ অরওয়েলসহ যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী এই কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। ১৪৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত ছেলেদের বোর্ডিং স্কুল হিসেবে আলোচিত এই কলেজে মানসিক স্বাস্থ্য ও আচরণসংক্রান্ত উদ্বেগ থেকে স্মার্টফোনের ব্যবহারকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। স্মার্টফোনের বদলে শিক্ষার্থীরা নকিয়ার হ্যান্ডসেট ব্যবহারের সুযোগ পাবে। যেসব হ্যান্ডসেটে ইন্টারনেটের সংযোগ নেই, তা ব্যবহার করা যাবে। শিক্ষার্থীরা শুধু কল করতে ও খুদে বার্তা পাঠাতে পারবে এসব ফোন দিয়ে।
অবশ্য নকিয়ার কোন মডেল নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। নকিয়া সাম্প্রতিক সময়ে ১৯৯০ ও ২০০০–এর দশকের পুরোনো ফোনের আদলে ৩৩১০, ৩২১০ ও ৬৩১০ মডেলকে আবার বাজারে ছেড়েছে। যদিও এসব ফোনে এখন স্মার্টফোনের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এসব ফোন ব্যবহার করা হলে তখন ফোনের সাধারণ ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে। স্কুলের উপপ্রধান মাইক গ্রেনিয়ার নতুন এ পরিবর্তন সম্পর্কে অভিভাবকদের সতর্ক করে দিয়েছেন। কলেজটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ধরনের নকিয়া হ্যান্ডসেট সরবরাহ করবে। স্মার্টফোন বন্ধ করলেও ইটন কলেজ শিক্ষামূলক খবরের জন্য আইপ্যাড সরবরাহ করছে শিক্ষার্থীদের।
স্মার্টফোন ব্যবহারের নানা চ্যালেঞ্জ ও উদ্বেগের বিষয়টি মাথায় রেখে এমনটা করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। মাইক গ্রেনিয়ার বলেন, ‘সামাজিকীকরণ, অপব্যবহার বা অতিরিক্ত ব্যবহার, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য উভয়ের ওপর প্রভাব রাখে স্মার্টফোন।’
ইটন কলেজ ছাড়াও যুক্তরাজ্যের অনেক বিদ্যালয় স্মার্টফোনের ব্যবহার নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা চালু করেছে। নটিং হিল, লন্ডনের অল সেন্টস ক্যাথলিক কলেজ ও ডুলউইচের অ্যালেনস স্কুল স্মার্টফোনের ওপর বিধিনিষেধ জারি করেছে। যুক্তরাজ্যের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের স্কুলে স্মার্টফোন পরিচালনা নিয়ে আলাপ চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি স্কুলে সরাসরি এ রকম যন্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসে শ্রেণিকক্ষ থেকে সেলফোন নিষিদ্ধ করার একটি আইন পাস করা হয়েছে।
সূত্র: ম্যাশেবল