আজ জেফ বেজোসের জন্মদিন
আজ জেফ বেজোসের জন্মদিন

জেফ বেজোসের জন্ম

১২ জানুয়ারি ১৯৬৪

মার্কিন ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমের স্বত্বাধিকারী ও বিনিয়োগকারী জেফরি প্রেসটন ‘জেফ’ বেজোস যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোতে জন্মগ্রহণ করেন। অ্যামাজন ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।

১২ জানুয়ারি ২০০০

বাগেরহাটের প্রত্যন্ত গ্রামে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে আমাদের গ্রাম প্রকল্পের যাত্রা শুরু।

১২ জানুয়ারি ১৯৯৭

আর্থার সি ক্লার্কের কালজয়ী বিজ্ঞান কল্পকাহিনি ২০০১: আ স্পেস ওডিসিতে কার্যকর হয়ে ওঠে হ্যাল ৯০০০ কম্পিউটার। ১৯৬৮ সালে এ কাহিনির চলচ্চিত্রায়ণে কম্পিউটারটি জীবন্ত হয়ে উঠেছিল।

১২ জানুয়ারি ১৯৬৪
জেফ বেজোসের জন্ম
মার্কিন ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমের স্বত্বাধিকারী ও বিনিয়োগকারী জেফরি প্রেসটন ‘জেফ’ বেজোস যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোতে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই–কমার্স সাইট ও ক্লাউড কম্পিউটিং প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। জেফ বেজোস বর্তমানে অ্যামাজনের নির্বাহী চেয়ারম্যান। তিনি ব্লু অরিজিন, বেজোস এক্সপেডিশনস ও বেজোস একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা। এ ছাড়াও জেফ বেজোস সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট–এর স্বত্বাধিকারী ও বেজোস আর্থ ফান্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স ও ফোর্বস সাময়িকীর তালিকা অনুযায়ী, ১৭ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদ নিয়ে ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী ছিলেন জেফ বেজোস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে তড়িৎ প্রকৌশল ও কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক হন তিনি। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত বেজোস ওয়াল স্ট্রিটে বিভিন্ন পেশায় কাজ করেন। ১৯৯৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে নিউইয়র্ক সিটি থেকে সিয়াটল পর্যন্ত এক সড়কযাত্রায় অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে অনলাইনে বই বিক্রি করে। পরে নানা ধরনের পণ্য বিক্রি ও সেবা দেওয়া হয় অ্যামাজন ডট কম থেকে। ভিডিও ও অডিও স্ট্রিমিং পরিষেবাও দিয়ে থাকে অ্যামাজন। এটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন বিক্রয় কোম্পানি।

বেজোসের অ্যামাজন এখন সবচেয়ে বড় ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান

অ্যামাজনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস রাজস্ব আয়ের দিক থেকে সর্ববৃহৎ ভার্চ্যুয়াল সহায়তা প্রদানকারী ও ক্লাউ অবকাঠামো নির্মাণ প্রতিষ্ঠান।
বেজোস ২০০০ সালে মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি কক্ষপথে মহাকাশযানে ভ্রমণের সেবাও দিয়ে থাকে। ব্লু অরিজিনের নতুন শেপার্ড ভেহিকল ২০১৫ সালে মহাকাশযাত্রা করে এবং পরে সফলভাবে পৃথিবীতে অবতরণ করে। জেফ বেজোস ব্লু অরিজিনের এনএস–১৬ নভোযানে ২০২১ সালে মহাকাশ ভ্রমণ করেন।

রামপালের শ্রীফলতলা গ্রামে আমাদের গ্রাম প্রকল্প। ২০০০

১২ জানুয়ারি ২০০০

গ্রামে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে আমাদের গ্রাম প্রকল্পের যাত্রা

সেই সময়ে দেশে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের প্রসার সবে শুরু হয়েছে, আর তা মূলত রাজধানীকেন্দ্রিক। গ্রামের মানুষকে কীভাবে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ব্যবহার শেখানো যায়, এই চিন্তা থেকে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামে কার্যক্রম শুরু করে আমাদের গ্রাম উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্প। এটি বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এডুকেশন সোসাইটির একটি উদ্যোগ ছিল।

আমাদের গ্রামের প্রকল্প পরিচালক রেজা সেলিম গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার কীভাবে করা যায়, সেই চিন্তা থেকেই এই প্রকল্পের শুরু। প্রথমে আমরা দুটি কম্পিউটার নিয়ে শ্রীফলতলায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করি। স্থানীয় বিদ্যালয়গুলোর ছাত্রছাত্রীদের কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হতো।’

আমাদের গ্রাম প্রকল্পের টেলিমেডিসিন সেবা। রামপাল, ২০২০

সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে রেজা সেলিম বলেন, ‘গ্রামে কম্পিউটার, স্ক্যানার, প্রিন্টার ইত্যাদি উপকরণ দেখে স্থানীয় লোকজন বিস্মিত হতেন। আমাদের গ্রাম প্রকল্পের জ্ঞানকেন্দ্রে কম্পিউটারের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কাজকর্ম চলত। সেখানে ফ্যাক্স মডেমের মাধ্যমে ডায়াল–আপ ইন্টারনেটও ব্যবহার করা হতো। তখন ঢাকার প্রশিকানেটের সার্ভারে যুক্ত হতে টেলিফোন বিলে খরচ হতো প্রতি মিনিটে ১৫ টাকা করে। এর সঙ্গে ইন্টারনেটের বিল যোগ হয়ে প্রতি মিনিট ইন্টারনেট খরচ পড়ত ২০ থেকে ২২ টাকা।’

আমাদের গ্রাম প্রকল্পের ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। শ্রীফলতলা, রামপাল, বাগেরহাট

আমাদের গ্রাম উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্প রামপাল ও এর আশপাশের এলাকায় কম্পিউটারের প্রসার ঘটাতে বড় ভূমিকা রাখে। পরবর্তী সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রামের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য নানা কর্মসূচি পরিচালনা করে আমাদের গ্রাম। বর্তমানে শ্রীফলতলা গ্রামে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রও পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

২০০১: আ স্পেস ওডিসি ছবির একটি দৃশ্য

১২ জানুয়ারি ১৯৯৭
কল্পকাহিনিতে হ্যাল ৯০০০ কম্পিউটার চালু
আর্থার সি ক্লার্কের কালজয়ী বিজ্ঞান কল্পকাহিনি ২০০১: আ স্পেস ওডিসিতে চালু হয়ে ‘হ্যাল ৯০০০’ কম্পিউটার। ১৯৬৮ সালে এ কাহিনির চলচ্চিত্রায়ণে কম্পিউটারটি জীবন্ত হয়ে উঠেছিল। হ্যাল ৯০০০ কম্পিউটার বলে উঠেছিল, ‘আমি হ্যাল ৯০০০ কম্পিউটার, উৎপাদন নম্বর ৩। আমি ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি ইলিনয়ের আরবানায় হ্যাল প্ল্যান্টে কার্যকর হয়ে উঠব।’ হ্যাল ৯০০০ তার জন্মসাল হিসেবে ১৯৯২ উল্লেখ করে। দুটি তারিখই পার হয়ে গেছে অনেক আগে, কিন্তু অতিবুদ্ধিমান মানুষের মতো কোনো হ্যাল কম্পিউটার এখনো দেখা যায়নি।