করোনা মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা। আর তাই ২০২৩ সালে তথ্যপ্রযুক্তির ধারা কেমন হবে, কোন কোন খাতে উন্নতি হবে, তা নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনা বিশ্বজুড়ে। এ বছর ৫টি প্রযুক্তির ব্যবহার বেশি দেখা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর প্রযুক্তি খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার হবে সর্বোচ্চ। এরই মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন বিভিন্ন পণ্য ও সেবা বাজারে আসতে শুরু করেছে। যত দিন যাবে, ততই এ প্রযুক্তির ব্যবহার সহজলভ্য হয়ে উঠবে। এ বছর কৃত্রিম প্রযুক্তিনির্ভর কেনাকাটার ধারা জোরালো হতে পারে। সফটওয়্যারের পাশাপাশি রোবটের ব্যবহারও বাড়বে এই বছরে।
মেটাভার্স বা ভার্চ্যুয়াল-দুনিয়ার পরিধি বাড়বে এ বছর। ত্রিমাত্রিক এ দুনিয়ায় সরাসরি উপস্থিত না হয়েও একে অপরের সঙ্গে কথা বলা যায়। চাইলে খেলাধুলা করাও সম্ভব। আর তাই তো ভার্চ্যুয়াল-দুনিয়া মেটাভার্স নিয়ে এখন প্রযুক্তিবিশ্বে চলছে তুমুল আলোচনা। এরই মধ্যে প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো ভার্চ্যুয়াল-দুনিয়া তৈরিতে কোটি কোটি ডলার খরচ করছে। এ ধারা বছরজুড়েই দেখা যেতে পারে। গ্রাহক পর্যায়ে মেটাভার্সের বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য ও সেবার উদ্ভাবন দেখা যাবে। তৈরি হবে নতুন সম্ভাবনা।
গত বছর আলোচনা হলেও এ বছর ওয়েব-৩ প্রযুক্তির উন্নয়ন হবে। পরবর্তী প্রজন্মের এই ইন্টারনেট-ব্যবস্থা মূলত ব্লক চেইন (তথ্য সংরক্ষণের নিরাপদ প্রযুক্তি) এবং নন-ফাঞ্জিবল টোকেনের (এনএফটি) মাধ্যমে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ করে দেবে।
এ বছর বাস্তব ও ভার্চ্যুয়াল-জগতের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের প্রযুক্তির উন্নয়ন হবে। ফলে দুই জগতের মধ্যে সেতুবন্ধ করা পণ্য ও সেবাগুলো পরখ করার সুযোগ মিলবে। এটি মূলত ডিজিটাল টুইন প্রযুক্তি এবং থ্রিডি (ত্রিমাত্রিক) প্রিন্টিং প্রযুক্তির সমন্বয়ে কাজ করে। এ প্রযুক্তিতে ভার্চ্যুয়াল-দুনিয়ায় বিভিন্ন কাজের পরিবেশ তৈরি করা হয়। শুধু তা-ই নয়, সিমুলেশনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভার্চ্যুয়ালি বিভিন্ন পণ্য বা সেবার পরীক্ষাও চালানো সম্ভব।
বর্তমান সময়ে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রযুক্তির উন্নয়নে বিভিন্ন দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। কারণ, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি কাজে সুপারকম্পিউটারের থেকেও দ্রুতগতিতে তথ্য যাচাই ও গণনা করা সম্ভব। এ বছর এ প্রযুক্তির বেশ কিছু উন্নয়ন দেখা যাবে।