মার্ক জাকারবার্গ। পেশাগত দিক দিয়ে একজন প্রযুক্তিবিদ ও উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিতির পাশাপাশি প্রতিদিন নির্দিষ্ট রুটিন অনুসরণ করার জন্যও সুপরিচিত। তাঁকে নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের আগ্রহও অসীম। এর ফলে বিভিন্ন সময় তাঁর পেশাগত ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে নানা ধরনের তথ্য উঠে আসে। পডকাস্ট বা যেকোনো আলোচনায় এসব নিয়ে প্রশ্নেরও সম্মুখীন হন। এবার জানা গেল, প্রতিদিনের রুটিন অনুসরণ করে সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টা অফিস করেন এই প্রযুক্তিবিদ।
জেরি সিনফেল্ডের সঙ্গে ফেসবুক লাইভের আলাপচারিতায় তাঁর ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন মার্ক জাকারবার্গ। মার্ক জানান, প্রতিদিন সকাল আটটায় ঘুম থেকে উঠে তাঁর দিন শুরু হয়। ঘুম থেকে উঠেই তিনি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারে প্রবেশ করেন। প্রয়োজনীয় তথ্য দেখে নেন। এরপর তিনি শরীরচর্চা করেন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন তিনি ব্যায়াম অনুশীলন করেন। নিজেকে আরও কর্মোদ্যমী করতেই শরীরচর্চা পছন্দ মেটার প্রধান নির্বাহীর। পরিবারকেও সময় দেন। সকালে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ছোটেন অফিসের দিকে। সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ ঘণ্টা মেটায় অফিস করেন মার্ক জাকারবার্গ।
সময় বাঁচানোর জন্য ও পরিকল্পনা অনুযায়ী দিনের সব কাজ শেষ করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন মার্ক। এর মধ্যে অন্যতম তাঁর চিরচেনা পোশাক পরিকল্পনা। একই রংয়ের টি-শার্ট, জিনস ও স্নিকারস পরেই অফিস করেন মার্ক। এর ফলে প্রতিদিন আলাদা করে পোশাক বাছতে হয় না। এতে সময়ও বেঁচে যায়, যা তিনি অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যয় করতে পারেন। ২০১৪ সালে এক আলাপচারিতায় প্রতিদিন একই পোশাক পরার এই কারণই জানান তিনি। তখন জানিয়েছিলেন, পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে ভাবনাচিন্তার সময় বের করেন না। আসলে এই সময়টা তিনি মানুষের সেবায় কাটাতে চান। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সেবা করার জন্যই তিনি পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে চিন্তাভাবনার পরিবর্তে বা সময় নষ্ট করার পরিবর্তে এই সাধারণ পোশাক পরেন।
তবে পেশাগত জীবনে নিজের কাজগুলো একাই করেন না মার্ক জাকারবার্গ। তাঁকে সহায়তা করার জন্য ১২ জনের একটি নিবেদিত দলও রয়েছে। যাঁরা তাঁকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনা ও এতে অন্যদের সঙ্গে ইতিবাচক মিথস্ক্রিয়া করতে সাহায্য করেন।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে