স্মার্টফোন এখন যেন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। ব্যক্তিগত যোগাযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালানো, বিনোদনসহ নানা কাজে এর ব্যবহার বেড়েছে। তবে স্মার্টফোন ব্যবহারে কিছু সাধারণ ভুল হয়, যেগুলো ব্যবহারকারীকে নিরাপত্তা–জটিলতায় ফেলতে পারে। এ ছাড়া নানা বিপদ ওত পেতে রয়েছে। নিরাপদ থাকতে হলে স্মার্টফোনের যে আটটি সাধারণ ভুল অবশ্যই এড়াতে হবে, সেগুলো দেখা যাক এই প্রতিবেদনে।
বেশির ভাগ ব্যবহারকারী স্মার্টফোনের হালনাগাদ আসা সত্ত্বেও তা ইনস্টল করেন না বা দেরিতে ইনস্টল করেন। এতে তাঁরা শুধু নতুন সুবিধা ও পরিবর্তন থেকে পিছিয়ে পড়েন না, স্মার্টফোনের নিরাপত্তা ও হ্যাকিং বা ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রমণের ঝুঁকিতে পড়েন।
প্রতিটি অ্যাপই ভালোভাবে কাজ করতে ব্যবহারকারীর কয়েক ধরনের অনুমতি চায়। তবে অ্যাপের জন্য অনুমোদনের সব বাধ্যতামূলক বা প্রয়োজনীয় নয়। কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যে, ক্যামেরা বা মাইক্রোফোনে প্রবেশাধিকারের অনুমতি চায়। তাই কেবল প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলোতে অনুমতি দেওয়া উচিত।
এটা সাধারণ একটি ভুল, যা ব্যবহারকারী করেন। ফোনে চার্জ নেই, সামনে সংযোগ দেওয়া যাবে এমন যেকোনো চার্জার বা পোর্ট পেলেই হলো। অধিকাংশ ফোন সি-টাইপ ইউএসবি চার্জিং পোর্ট ব্যবহার করলেও তারা আসলে ভিন্ন ভিন্ন চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে। অননুমোদিত চার্জিং কেব্লের ব্যবহার ব্যাটারির ক্ষতি ও নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
আরেকটি সাধারণ ভুল হলো রাতভর ফোন চার্জ করা। অধিকাংশ আধুনিক ফোনে ব্যাটারির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সুবিধা থাকে। কিন্তু রাতভর চার্জ দিলে ব্যাটারির কর্মক্ষমতা ও স্থায়িত্ব কমে যায়। কিছু ক্ষেত্রে এটা আরও ভয়ানক হতে পারে।
ফোন হারিয়ে গেলে, চুরি হলে বা নষ্ট হয়ে গেলেও তাতে সংরক্ষিত তথ্য, ছবি ও অন্য কিছু নিরাপদ থাকার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ব্যাকআপ। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে চলা উভয় যন্ত্রে গুগল ড্রাইভ ও আইক্লাউডের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাকআপ সুবিধা পাওয়া যায়। তাই সব সময় সেটি সক্রিয় রাখা।
এই ঘটনা অ্যান্ড্রয়েড যন্ত্রে ঘটতে পারে। অ্যাপলে তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ইনস্টল করা যায় না। অ্যান্ড্রয়েডে তা সম্ভব এবং তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ফোনে ইনস্টলও করা যায়। এই অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল বিপজ্জনক হতে পারে এবং এতে ম্যালওয়্যার বা স্পাইওয়্যার থাকতে পারে—যা ফোনের ক্ষতি করতে পারে এবং ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হতে পারে।
বিভিন্ন কারণে গণ বা পাবলিক ওয়াইফাই নিরাপদ নয়। এতে ম্যালওয়্যার থাকতে পারে। এ রকম খোলা প্রকৃতি তথ্যে গুপ্তচরবৃত্তি, এমনকি সেগুলো হাতাতে ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনে ক্ষতিকর কিছু প্রবেশ করাতে পারে।
ব্যবহার না করা সত্ত্বেও সব সময় ব্লুটুথ এবং এনএফসি চালু রাখলে ফোন অননুমোদিত প্রবেশাধিকার ও হ্যাকিংয়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া