কমিউনিটি ও গাইডলাইন না মেনে ভিডিও প্রকাশ করলে ভিডিও নির্মাতাদের এক বা একাধিক স্ট্রাইক দিয়ে থাকে ইউটিউব। এসব স্ট্রাইকের মাধ্যমে মনিটাইজেশন (আয়) সুবিধা বাতিলের পাশাপাশি চ্যানেলও বন্ধ করে দেয় ইউটিউব। এবার নির্মাতাদের পাশাপাশি দর্শকদের জন্য ‘তিন স্ট্রাইক নীতিমালা’ চালু করতে যাচ্ছে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মটি।
ইউটিউবে বিজ্ঞাপন না দেখার জন্য অনেকেই তৃতীয় পক্ষের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করেন। কিন্তু অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করলে বিজ্ঞাপনী আয় কমে যায় ইউটিউবের। আর তাই অ্যাড ব্লকার ব্যবহারকারীদের ঠেকাতে ‘তিন স্ট্রাইক নীতিমালা’ তৈরি করেছে ইউটিউব। নতুন এ নীতিমালা ভঙ্গ করলে ইউটিউবের কোনো ভিডিও দেখতে পারবেন না অ্যাড ব্লকার ব্যবহারকারীরা।
বর্তমানে নির্দিষ্টসংখ্যক অ্যাড ব্লকার ব্যবহারকারীর ওপর পরীক্ষামূলকভাবে ‘তিন স্ট্রাইক নীতিমালা’ প্রয়োগ শুরু করেছে ইউটিউব। নতুন এ নীতিমালার আওতায় প্রথমে অ্যাড ব্লকার নিষ্ক্রিয় করতে বার্তা পাঠাচ্ছে ইউটিউব। বার্তায় বিজ্ঞাপন ছাড়া ভিডিও দেখার জন্য অর্থের বিনিময়ে ইউটিউব প্রিমিয়াম সুবিধা ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। শুধু তা–ই নয়, পপআপে তিনটি সাদা রঙের বক্স দেখিয়ে বলা হয়, অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করে তিনটি ভিডিও দেখলেই ভিডিও প্লেয়ার স্থায়ীভাবে ব্লক করা হবে। ফলে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখতে হবে অথবা অর্থের বিনিময়ে ইউটিউব প্রিমিয়াম সুবিধা ব্যবহার করতে হবে।
সম্প্রতি অ্যাড ব্লকার নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইউটিউব। ফলে নতুন এ নীতিমালা চালু হলে ইউটিউবে ভিডিও দেখার সময় বাধ্যতামূলকভাবে ৩০ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের বিজ্ঞাপন দেখতে হবে অথবা প্রতি মাসে ১১ দশমিক ৯৯ ডলারের বিনিময়ে ইউটিউব প্রিমিয়াম সুবিধা ব্যবহার করতে হবে। তবে কবে নাগাদ এ নীতিমালা সবার জন্য চালু করা হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি।
সূত্র: ম্যাশেবল, গ্যাজেটস নাউ