ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রয়োজনে পরিচিত-অপরিচিত ব্যক্তিদের ফোনে বার্তা বা এসএমএস পাঠান অনেকেই। সহজে বিভিন্ন তথ্য জানানোর সুযোগ থাকায় বর্তমানে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যমও হয়ে উঠেছে এই এসএমএস। তবে ফোনে বার্তা পাঠানোর বেশ কিছু আদবকেতা বা শিষ্টাচার মেনে না চললে অন্যদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। সম্প্রতি ফোনে বার্তা পাঠানোর আদবকেতার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের এমিলি পোস্ট ইনস্টিটিউট।
১. সংক্ষিপ্ত বার্তা
অনেকেই নির্দিষ্ট তথ্য জানানোর নাম করে বড় বার্তা পাঠান। এতে বার্তা পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য বা প্রয়োজনীয় তথ্য সহজে জানা যায় না। এর ফলে প্রাপক বিরক্ত হন। তাই সংক্ষেপে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে বার্তা পাঠাতে হবে। সংক্ষেপে বার্তা পাঠানো সম্ভব না হলে প্রয়োজনে ফোনকল করা যেতে পারে।
২. বার্তার উত্তর
কেউ বার্তা পাঠালে ফিরতি উত্তর দিতে হবে। তবে এ উত্তর অবশ্যই বার্তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হতে হবে। বার্তায় কেউ কোনো কাজ করার অনুরোধ করলে সে বিষয়ে আপনার সম্মতি বা অসম্মতি প্রথমেই জানিয়ে দেওয়া ভালো। এতে ভুল বোঝাবুঝি হবে না।
৩. একসঙ্গে একাধিক বার্তা নয়
একসঙ্গে একাধিক বার্তা পাঠালে অনেকেই বিরক্ত হন। ফলে সব বার্তা পড়েন না তাঁরা। এতে নির্দিষ্ট সময়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানো সম্ভব হয় না।
৪. প্রাতিষ্ঠানিক ফোন নম্বর থেকে ব্যক্তিগত বার্তা নয়
প্রতিষ্ঠানের কাজের প্রয়োজনে দেওয়া ফোন থেকে ব্যক্তিগত বার্তা পাঠানো উচিত নয়। ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য ব্যক্তিগত ফোন নম্বর বা অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হবে।
৫. অন্যদের সামনে থাকা অবস্থায় বার্তা পাঠানো নয়
অন্যদের সামনে থাকা অবস্থায় ফোনে বার্তা লেখেন অনেকেই। এতে সামনে থাকা ব্যক্তিরা বিরক্ত হতে পারেন। শুধু তাই নয়, বার্তার তথ্য অন্য কেউ দেখেও ফেলতে পারেন।
৬.বার্তায় খারাপ সংবাদ না দেওয়া
কোনো খারাপ সংবাদ বার্তার মাধ্যমে জানানো উচিত নয়। এ ক্ষেত্রে ফোনকল বা সরাসরি দেখা করে সংবাদটি জানাতে হবে।
৭. কথোপকথন শেষ করা
নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বার্তা আদান-প্রদানের সময় অবশ্যই তা শেষ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কথোপকথনের শেষ বার্তায় বিদায় জানাতে হবে। না হলে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে।
৮. গাড়ি চালানোর সময় বার্তা পাঠানো ঠিক নয়
গাড়ি চালানোর সময় কখনোই বার্তা আদান–প্রদান করা যাবে না। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। খুব প্রয়োজন হলে নিরাপদ স্থানে গাড়ি থামিয়ে প্রয়োজনীয় বার্তা পাঠাতে হবে।