যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস সায়েন্স ল্যাবরেটরি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া (ইউসি) বার্কলেতে ‘বার্কলে ওপেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর নেটওয়ার্ক কম্পিউটিং (বিওআইএনসি)’ চালু করে। ভলান্টিয়ার কম্পিউটারের জন্য এটি ছিল উন্মুক্ত প্রোগ্রামিং সংকেতের (ওপেনসোর্স) মিডলওয়্যার সিস্টেম।
১০ এপ্রিল ২০০২
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কম্পিউটিং গ্রিড বিওআইএনসি চালু
যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এসএসএল) ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া (ইউসি) বার্কলেতে ‘বার্কলে ওপেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর নেটওয়ার্ক কম্পিউটিং (বিওআইএনসি)’ চালু করে। ভলান্টিয়ার কম্পিউটারের জন্য এটি ছিল উন্মুক্ত প্রোগ্রামিং সংকেতের (ওপেনসোর্স) মিডলওয়্যার সিস্টেম। এসইটিএ অ্যাট হোম প্রকল্পকে সহায়তা করার জন্য এর উন্নয়ন করা হলেও পরে ওষুধশিল্প, আণবিক জীববিজ্ঞান, গণিত, ভাষাতত্ত্ব, পরিবেশবিজ্ঞান, জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিওআইএনসি কাজে লাগে। বিওআইএনসির মাধ্যমে গবেষকেরা পৃথিবীজুড়ে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের পারসোনাল কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রের প্রসেসরের শক্তি ব্যবহার করতে পারেন।
ডেভিড পি অ্যান্ডারসনের নেতৃত্বে এসএসএলের একটি দল ইউসি বার্কলেতে বিওআইএনসির উন্নয়ন করে। অ্যান্ডারসন এসইটিআই অ্যাট হোমের নেতৃত্বেও ছিলেন। উচ্চক্ষমতার ভলান্টিয়ার কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিওআইএনসি বিশ্বজুড়ে ৩৪ হাজার ২৩৬ সক্রিয় অংশগ্রহণকারীর ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৪১টি সক্রিয় কম্পিউটারের (হোস্ট) প্রসেসরের শক্তি একত্র করতে পারে। ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ২০.১৬৪ পেটাফ্লপস তথ্য প্রক্রিয়া করে বিওআইএনসি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বিওআইএনসি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কম্পিউটিং গ্রিড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিওআইএনসির প্রোগ্রামিং সংকেত মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস, অ্যান্ড্রয়েড, লিনাক্স ও ফ্রিবিএসডি অপারেটিং সিস্টেমে চলে।