২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েছে সরকার। এ ব্যাপারে কাজও শুরু হয়েছে। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করে সমন্বিত পথনকশা তৈরি করছে।
স্মার্ট বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে গত মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে ‘ভিশন-৪১: স্মার্ট আইসিটি ডিভিশন’ ডিজাইন ও প্ল্যানিং ল্যাব (ডিএসডিএল) উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ‘সরকার দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে আইসিটি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষপে গ্রহণ করেছে। আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সব দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিকল্পনাগুলো সঠিকভাবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সে অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে পারলেই আমরা সফল হতে পারব।’
সভায় ২০৪১ সালের মধ্যে জনগণকে কেমন সেবা প্রদান করা হবে, সে বিষয়ে জানান এটুআইয়ের নীতিমালা উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী। তিনি বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার মোট ৯৭টি উদ্যোগ এবং ২৪২টি সফটওয়্যার অটোমেশনের ওপর ‘সংকলিত রোডম্যাপ’ উপস্থাপন করেন।
আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ডেটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজের নিয়ন্ত্রক আবু সাঈদ চৌধুরী, এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ প্রমুখ।