বিক্ষোভ করছেন বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের মুঠোফোন দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা। আজ দুপুরে ঢাকার পান্থপথে
বিক্ষোভ করছেন বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের মুঠোফোন দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা। আজ দুপুরে ঢাকার পান্থপথে

‘আমরা বিপদে আছি, কীভাবে মুক্তি পাব জানি না’

রাজধানীর পান্থপথে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের মুঠোফোন দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা। আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মুঠোফোন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সাইম প্লাসের স্বত্বাধিকারী মো. কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিপদে আছি, কীভাবে মুক্তি পাব জানি না। চুক্তিপত্রের চেয়ে আমাদের বহুগুণ বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। সার্ভিস চার্জ আর ভাড়া বাড়ানোর পাশাপাশি মোবাইল মার্কেটকে হঠাৎ করে আন্ডারগ্রাউন্ডে (বেজমেন্ট) পাঠানো হয়েছে। এর ফলে পুরো মোবাইল মার্কেট এখন নষ্ট হওয়ার পথে। এটা এখানকার কিছু মানুষ নষ্ট করছে। আমরা এ সমস্যা থেকে মুক্তি চাই। আমরা আগের জাগায় ফিরতে চাই।’

মুঠোফোন ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের মোবাইলের দোকানগুলো ১, ৫ ও ৬ তলায় ছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রায় জোর করে আমাদের নামিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় আমরা প্রতিবাদ করলে তিনজন ব্যবসায়ীকে একটা অন্ধকার রুমে তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। এরপর আমরা বাধ্য হয়ে নিচে নেমে যাই। এখন আমাদের আন্ডারগ্রাউন্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা মূল মার্কেট থেকে একেবারে আলাদা হলেও বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আমরা আগের জায়গায় ফিরে যেতে চাই।’

বসুন্ধরা সিটির একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি বর্গফুটের ভাড়া ২০০ টাকা হলেও নেওয়া হয় তিন থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত। ভাড়া নেওয়ার পর রসিদ হিসেবে একটি ফটোকপি করা কাগজ দেওয়া হয়। আমরা অত্যাচারের শিকার। আর তাই বিক্ষোভে মোবাইল ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি পুরো মার্কেটের ব্যবসায়ীরাও অংশ নিয়েছেন। সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের মহাব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম ও ইনচার্জ মহসিন করিমকে পদত্যাগ করতে হবে।’

মোবাইল দোকান মালিক ও কর্মচারীদের বিক্ষোভের বিষয়ে রবিউল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভাড়া নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে। এখনো আমরা কথাবার্তা বলছি, দোকানমালিকদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করব। এখন আলোচনা চলছে। আপনাকে জানাব পরে।’
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছে। ভবনে প্রবেশের সিঁড়ির সামনে বসুন্ধরা সিটির লোকজন ছাড়াও সেনাবাহিনী, বিজিবির সদস্যরা রয়েছেন। মোবাইল বিক্রেতাদের একটি প্রতিনিধিদল বসুন্ধরা সিটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে।