ভিআর হেডসেটের জন্য ভার্চ্যুয়াল কি–বোর্ড ব্যবহার করে দেখালেন জাকারবার্গ

মেটার কুইস্ট ভিআর হেডসেট পরে ভার্চ্যুয়াল কি–বোর্ড ব্যবহার করছেন মার্ক জাকারবার্গ
মার্ক জাকারবার্গ

যেকোনো সমতল স্থানকে কি–বোর্ডে রূপান্তর করতে সক্ষম ভার্চ্যুয়াল কি–বোর্ড তৈরি করেছে মেটার রিয়েলিটি ল্যাবস। স্পর্শনির্ভর সুবিধার কি–বোর্ডটি কাজে লাগিয়ে ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় যেকোনো তথ্য লেখার পাশাপাশি বার্তাও পাঠানো যাবে। শুনতে অবাক লাগলেও এরই মধ্যে ভার্চ্যুয়াল কি–বোর্ড ব্যবহার করে নির্দিষ্ট তথ্য লিখেছেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। মেটার মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রামে ভার্চ্যুয়াল কি–বোর্ড ব্যবহারের ভিডিও প্রকাশও করেছেন তিনি।

ভিডিওতে দেখা গেছে, মেটার কুইস্ট ভিআর (ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি) হেডসেট পরে ভার্চ্যুয়াল কি–বোর্ডে দ্রুত টাইপ করছেন মার্ক জাকারবার্গ ও মেটার প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু বাসওর্থ। তাঁদের সামনে থাকা টেবিলের সমতল পৃষ্ঠে কোনো অক্ষর দেখা না গেলেও তাঁরা সাধারণ কি–বোর্ডের মতো টাইপ করছেন। তাঁদের আঙুলের নড়াচড়া শনাক্ত করেই সামনে থাকা পর্দায় লেখাগুলো দেখা যাচ্ছে।

ভার্চ্যুয়াল কি–বোর্ড

ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) প্রযুক্তিতে ভার্চ্যুয়াল কি–বোর্ডের ব্যবহার অনেক পুরোনো। তবে এ প্রযুক্তিতে লেখার গতি কম হয়ে থাকে। কারণ, ভার্চ্যুয়াল কি–বোর্ডে প্রচলিত কি–বোর্ডের মতো টাইপ করারও সুযোগ থাকে না। তবে ভিডিওতে দেখা গেছে ভার্চ্যুয়াল কি–বোর্ডের মাধ্যমে জাকারবার্গ এক মিনিটে ১০০ অক্ষর এবং অ্যান্ড্রু বাসওর্থ ১১৯ অক্ষর টাইপ করেছেন। আর তাই মেটার কুইস্ট ভিআর (ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি) হেডসেটে ভার্চ্যুয়াল কি–বোর্ডের মাধ্যমে যেকোনো বিষয় দ্রুত লেখার সুযোগ পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মেটার তৈরি কোয়েস্ট হেডসেটে পাতলা লেন্সসহ ট্র্যাকিং সেন্সর থাকায় চোখের নড়াচড়ার পাশাপাশি ব্যবহারকারীর চেহারার অভিব্যক্তিও শনাক্ত করতে পারে। ফলে ব্যবহারকারীর চেহারার অনুভূতি ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় থাকা তাঁর অ্যাভাটারেও (চেহারার আদলে ছবি বা ইমোজি) দেখা যায়। শুধু তা-ই নয়, ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ার বিভিন্ন বস্তু বা ছবি চারপাশে দেখতে পারেন ব্যবহারকারীরা।