বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। গত মে মাস থেকে বৈশ্বিক সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনের পরিমাণ বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর চেয়ে বেশি হচ্ছে বলে জানিয়েছে জ্বালানিবিষয়ক সংস্থা এম্বার। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, গত মে মাসে বৈশ্বিক বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের তুলনায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ১ দশমিক ৬৫ টেরাওয়াট ঘণ্টা বেশি হয়েছে। জুন মাসে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ৯ দশমিক ৫৭ টেরাওয়াট ঘণ্টা বেশি। ২০২৩ সালের জুন ও আগস্ট মাসে প্রথমবারের মতো সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের হার বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
জুলাই মাসের তথ্য জানা না গেলেও উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে সাধারণত এ সময় সর্বোচ্চ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এ ছাড়া আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বাতাসের গতি কম থাকায় টারবাইননির্ভর বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কম হয় দেশগুলোতে। আর তাই ধারণা করা হচ্ছে, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বৈশ্বিক সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনের পরিমাণ বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে বেশি হবে।
২০ বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুতের উৎস হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। তবে কম খরচে ও দ্রুত সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সুযোগ থাকায় গত পাঁচ বছরে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রের তুলনায় সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ১৮৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের মাত্রা বাড়াচ্ছে বলে বৈশ্বিকভাবে সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স