ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৭৪৩ মাইল বেগে ২৪ ডিসেম্বর পৃথিবীর দিকে খেয়ে আসবে বিশাল এক গ্রহাণু। প্রায় ১০ তলা ভবনের সমান আকারের বিশাল এই গ্রহাণুকে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা—নাসা ‘ক্রিসমাস ইভ গ্রহাণু’ নামকরণ করেছে। পৃথিবীবাসী যখন বড়দিনের সময় সান্তা ক্লজকে দেখার জন্য আকাশে চোখ রাখবে তখনই এই গ্রহাণুর উপস্থিতি দেখা যাবে। নাসার অ্যাস্টেরয়েড ওয়াচ ড্যাশবোর্ডের তথ্য বলছে, ২০২৪ এক্সএন১ নামের এই গ্রহাণু পৃথিবী থেকে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার মাইল দূরত্ব থেকে পৃথিবীকে অতিক্রম করবে। এই বিশাল মহাজাগতিক পাথরের সঙ্গে পৃথিবীর কোনো সংঘর্ষের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে নাসা।
যুক্তরাজ্যের রয়্যাল গ্রিনউইচ অবজারভেটরির জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেস লি বলেন, গ্রহাণুটি খুব দূর দিয়ে অতিক্রম করবে। পৃথিবী থেকে চাঁদের যে দুরত্ব তার চেয়ে প্রায় ১৮ গুণ বেশি দূর থেকে অতিক্রম করবে এই গ্রহাণু। পৃথিবীতে আঘাত করার মতো যথেষ্ট কাছাকাছি আসছে না গ্রহাণুটি। যদি গ্রহাণুটি গ্রহে আঘাত হানে, তাহলে বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন, প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টন টিএনটি সমতুল্য শক্তি নিয়ে আঘাত করবে পৃথিবীকে। ৭০০ বর্গ মাইল এলাকাজুড়ে আঘাত হানতে পারে গ্রহাণুটি। বড়দিনের রাতে ০২.৫৬ গ্রিনিচ সময়ে পৃথিবীর নিকটতম বিন্দুতে পৌঁছাবে এই গ্রহাণুটি।
১৯০৮ সালে রাশিয়ায় তুঙ্গুস্কায় যে গ্রহাণু আঘাত করেছিল সেই গ্রহাণুর সমান আকারের এই বড়দিনের গ্রহাণু। এবছর পৃথিবীর কাছাকাছি আসার পরে ২০৩২ সালের আগে আর পৃথিবীর ত্রিসীমানায় দেখা যাবে না গ্রহটিকে।
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির হিসাবে, পৃথিবীতে গ্রহাণুর আঘাত হানার আশঙ্কা ৫২ হাজার ঘটনার মধ্যে একবার। আইফেল টাওয়ার-আকারের সমান এই গ্রহাণু। যারা সৌখিন জ্যোতির্বিদ তাদের জন্য এই গ্রহাণু বড়দিনে দারুণ এক পর্যবেক্ষণের অনুসঙ্গই বটে। সান্তা ক্লজ না দেখা গেলেও গ্রহাণুকে দেখতে পাবেন অনেকেই।
সূত্র: ডেইলি মেইল