পেরুর রেইনফরেস্টে শতাধিক প্রাণীর খোঁজ পেয়েছেন অভিযাত্রী বিজ্ঞানীরা। সেগুলোর মধ্যে ২৭টি নতুন প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। কনজারভেশন ইন্টারন্যাশনাল অল্টো মায়ো ল্যান্ডস্কেপ নামের একটি অভিযানে এসব প্রাণীর খোঁজ মিলেছে। তালিকায় ৪টি স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৮টি মাছ, ৩টি উভচর প্রাণী ও ১০টি প্রজাপতির প্রজাতি রয়েছে। অভিযাত্রীদের দলে পেরুর বিজ্ঞানীরা ও আল্টো মায়ো আওয়াজুন সম্প্রদায়ের আদিবাসীরা যুক্ত আছেন।
কনজারভেশন ইন্টারন্যাশনালের বিজ্ঞানী ট্রন্ড লারসেন বলেন, একটি অভিযানে একটি নতুন প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী আবিষ্কার করা বেশ অসাধারণ কাজ। সেখানে আমরা চারটি নতুন স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতি, আটটি নতুন মাছ ও তিনটি নতুন উভচর আবিষ্কার করা দারুণ একটা অভিজ্ঞতা। গবেষকেরা সব মিলিয়ে মোট ১৫১টি স্তন্যপায়ী প্রাণী খুঁজে পেয়েছেন। তাদের মধ্যে চারটি একেবারেই নতুন। একটি বাদুড়, কাঠবিড়ালি ও একটি কাঁটাযুক্ত ইঁদুর প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষণ করা গেছে। নতুন খোঁজ পাওয়া প্রজাতির অন্তত ১২টি এখনই বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে। অভিযাত্রী দলটি ৬৮টি মাছ নতুন প্রজাতি খুঁজে পেয়েছে। এসব মাছের মধ্যে আটটি নতুন মাছ।
পুরো অভিযানে অভিযাত্রী দলটি বিরল প্রজাতির একটি উভচর ইঁদুর আবিষ্কার করে এখন বেশ উচ্ছ্বসিত। বিজ্ঞানী ট্রন্ড লারসেন বলেন, এই নতুন প্রজাতি আধা জলজ মাংসাশী ইঁদুরের একটি দলের অন্তর্গত। এরা বেশ বিরল প্রজাতির। অভিযানে গবেষকেরা ৪৫টি সরীসৃপ ও উভচর প্রজাতিও খুঁজে পেয়েছেন। এদের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি রেইন ফ্রগ, সরু মুখের ব্যাঙ ও একটি ক্লাইম্বিং সালামান্ডার পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নতুন ১২টি কীটপতঙ্গ পাওয়া গেছে।
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এই বৈজ্ঞানিক অভিযানে দলটি উদ্ভিদ ও প্রাণী জরিপ করার জন্য শুধু ঐতিহ্যগত পদ্ধতি ব্যবহার করেনি। ডিএনএর ওপর ভিত্তি করে প্রাণীদের শনাক্ত করতে চেষ্টা করেন। এ ছাড়া ক্যামেরা, বায়োঅ্যাকোস্টিক সেন্সরসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
সূত্র: ইউরো নিউজ