আটলান্টিক মহাসাগর
আটলান্টিক মহাসাগর

তাপমাত্রা বাড়লেও আটলান্টিক ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে কেন

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে। কিন্তু হঠাৎ করেই আটলান্টিক মহাসাগরের বিশাল একটা অংশের পানির তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। আর তাই বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে বিজ্ঞানীদের। বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করলেও এখনো আটলান্টিক মহাসাগরের পানি কেন ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে, তার রহস্য জানতে পারেননি তাঁরা। আটলান্টিক মহাসাগরের অস্বাভাবিক ঠান্ডা অঞ্চলটি বিষুবরেখার কয়েক ডিগ্রি উত্তর ও দক্ষিণে বিস্তৃত। গত জুনের প্রথম দিকে এই অঞ্চলের খোঁজ পাওয়া যায়। এই অঞ্চলে কয়েক বছর পরপর ঠান্ডা ও উষ্ণ পানি দেখা গেলেও এবারই প্রথম রেকর্ড মাত্রায় পানির তাপমাত্রা কমে গেছে।

আটলান্টিক মহাসাগরের বিশাল একটা অংশের পানির তাপমাত্রা কমে যাওয়ার বিষয়টিকে অভূতপূর্ব ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ফ্রাঞ্জ টুচেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বিজ্ঞানী মাইকেল ম্যাকফ্যাডেন বলেন, ‘আসলে কী ঘটছে, তা আমরা জানার চেষ্টা করছি। সার্বিক পরিস্থিতি আমরা পুরোপুরি বুঝতে পারছি না।’

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পূর্ব নিরক্ষীয় আটলান্টিকের সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা গত ফেব্রুয়ারি ও মার্চে সবচেয়ে উষ্ণ ছিল। এ সময় অঞ্চলটিতে তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ১৯৮২ সালের পর সর্বোচ্চ। গত জুন থেকে তাপমাত্রা রহস্যজনকভাবে কমতে থাকে। জুলাইয়ের শেষের দিকে তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।

আটলান্টিক মহাসাগরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এই অঞ্চলে আটলান্টিক নিনাতে শুরু হতে পারে। এটি একটি আঞ্চলিক জলবায়ুর ধরন, যার ফলে পশ্চিম আফ্রিকায় বৃষ্টি বেশি হলেও উত্তর-পূর্ব ব্রাজিলসহ গিনি উপসাগরের আশপাশের দেশগুলোয় কম বৃষ্টি হয়। এই প্রাকৃতিক ঘটনা প্রশান্ত মহাসাগরের লা নিনার মতো শক্তিশালী নয়। ২০১৩ সালের পরে আটলান্টিক নিনাত দেখা যায়নি। তবে তিন মাস ধরে শীতল তাপমাত্রা অব্যাহত থাকলে আটলান্টিক নিনাত ঘোষণা করা হতে পারে।

সূত্র: লাইভ সায়েন্স